ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আড়াইদিনে হার। টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে তবুও বাংলাদেশকেই এগিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বৃহস্পতিবার ছোট ফরম্যাটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েও হারের পর অধিনায়কের উপলব্ধি হচ্ছে আসলে এগিয়ে শ্রীলঙ্কাই।
‘যদি ফল চিন্তা করি, অবশ্যই কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছি। ওদের বোলিং যদি দেখেন, শেষদিকে ইয়র্কারগুলো ভাল ভাবে করতে পেরেছে। আমাদের অনেক পথ খুঁজতে হয়েছে রান করতে। যদি মুশির ব্যাটিং দেখেন, স্কুপ-রিভার্সস্কুপ খেলেছে বা ব্লকের বল অফ স্টাম্পের বাইরে এসে মেরেছে। আমাদের বোলাররা সেই লেংথে বল করতে পারেনি। এজন্যই এই ফল। তবে এই সংগ্রহ অবশ্যই আমাদের ডিফেন্ড করা উচিত ছিল।’
স্বাগতিকদের ১৯৪ রানের লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা তাড়া করেছে ৬ উইকেট হাতে রেখে। শেষদিকে ব্যাটে ঝড় তুলে ২০ বল আগেই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে সফরকারীদের পঞ্চম উইকেট জুটি। থিসারা পেরেরা ১৮ বলে ৩৯ ও দাসুন শানাকর ২৪ বলে ৪২ রানে থাকেন অপরাজিত।
সোজা ব্যাটে খেলে রান করেছেন এ দুজন। বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা স্কুপ, রিভার্সসুইপ খেলতে গিয়ে অনেক সময়ই উইকেট বিলিয়ে আসেন। এ ম্যাচেও রিভার্সসুইপ খেলতে গিয়েই আউট হয়েছেন দুর্দান্ত শুরু এনে দেয়া সৌম্য সরকার। এমন শট খেলার প্রবণতা থাকার কারণ জানালেন মাহমুদউল্লাহ।
‘রিভার্সস্কুপের কথা যেটা বলছেন, যদি ইয়র্কার খুব ভাল জায়গায় থাকে, তাহলে সোজা বা সাইডে খেলা খুব কঠিন। তখন উদ্ভাবনী শট খেলতে হয়। শেষদিকে আমাদের বোলাররা ইয়র্কার খুব ভাল দিতে পারেনি। হাফ-অফ লেংথে বল কর এ উইকেটে পার পাওয়া কঠিন। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হয়ে যায়। ইয়র্কার আরও ভাল করা উচিত ছিল।’