উইকেটের পেছনে বিশ্বস্ত হাত থাকা মানে বোলারদের শক্তি বেড়ে যাওয়া। জ্যামাইকা টেস্টে সাকিব আল হাসানের আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ করেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি স্টাম্পিং করে এ তরুণ নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকেও!
বাঁহাতি স্পিনের মুখে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় দুটি স্টাম্পিং করেন সোহান। ডেভন স্মিথ ও কেমো পল ফেরেন এই তরুণের দক্ষতায়। তাতে সাকিবের নামের পাশে যোগ হয় দুই উইকেট। পরে অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে জেসন হোল্ডারকে স্টাম্পিং করেন সোহান। যাতে ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি স্টাম্পিং করা উইকেটরক্ষক বনে যান।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট ইনিংসে সর্বোচ্চ দুটি স্টাম্পিং করেছিলেন। সেটি ছিল ২০০৪ সালে, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করা মুশফিকুর রহিম ইনিংসে একটির বেশি স্টাম্পিং করতে পারেননি। একাধিকবার ইনিংসে একটি করে স্টাম্পিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে মুশফিকের। লিটন দাসেরও রয়েছে একটি স্টাম্পিংয়ের অভিজ্ঞতা।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪১ বছরের ইতিহাসে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫টি স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ভারতের কিরন মোরের। ১৯৮৮ সালে চেন্নাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ব্যাটসম্যানকে ফেরান স্টাম্পিং করে। ৪টি করে স্টাম্পিং করা উইকেটরক্ষক আছেন দুজন।
আর ৩টি করে স্টাম্পিং করা ১৬ উইকেটরক্ষকের তালিকায় নাম তুললেন বাংলাদেশি কেউ। সোহানের কিপিং শুরু থেকেই প্রশংসিত হয়ে আসছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তৃতীয় কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে জায়গা পান সোহান। নিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচেই নাম ওঠালেন রেকর্ডের পাতায়।