চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘যেখানেই সংকট সেখানেই আমি সক্রিয় এবং সেটাই আমার লেখার বিষয়’

‘আমি গল্প-উপন্যাসে দেশ, সমাজ, মানুষের সংকটের কথা বলি। যেখানেই সংকট সেখানেই আমি সক্রিয় এবং সেটাই আমার লেখার বিষয়’

এই সময়ের কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম একজন হারুন পাশা। যার কথাসাহিত্যে নিজস্ব স্বর আছে। নিজস্ব প্রকাশকৌশল বা নিজস্ব উপাস্থাপনরীতি আছে। যে রীতিতে লেখক অনুপস্থিত থাকেন। চরিত্ররা হয়ে উঠে মুখ্য। তিনি বলেন দেশ, সমাজ, মানুষের সংকটের কথা।

এখন পর্যন্ত হারুন পাশা লিখেছেন তিনটি উপন্যাস- তিস্তা, চাকরিনামা এবং বদলে যাওয়া ভূমি। কথাসাহিত্যে তিনি পেয়েছেন ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’ এবং ‘শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার’। তার লেখা উপন্যাস এবং সাহিত্যের অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে হারুন পাশার সঙ্গে কথা বলেছেন স্বপঞ্জয় চৌধুরী:  

আপনার লেখা নতুন উপন্যাস ‘বদলে যাওয়া ভূমি’। এটির প্রেক্ষাপট কী? উপন্যাসটি লেখার সময় যেসকল বিষয় আপনাকে ভাবিয়েছে এবং এটি লিখতে গিয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন?
‘বদলে যাওয়া ভূমি’ উপন্যাস লেখার কথা ছিল না এই সময়ে। আমি লিখতে চেয়েছিলাম আরেকটি উপন্যাস। ফেব্রুয়ারি মাসের পর মার্চ-এপ্রিল বন্ধ্যা সময় কাটে। কোনো কিছুই লিখতে পারি না। মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। এই বন্ধ্যাত্ব কাটানোর লক্ষ্যে একটি উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ইন্টারভিউও করেছি। ইন্টারভিউ করেছি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষদের। প্রায় ৫০ জনের ইন্টারভিউ করেছি। কিন্তু এ উপন্যাস লেখা শুরু করতে পারিনি। কেবল নোট নিয়ে রেখেছি। করোনায় দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলো এবং পুরা দুনিয়া লকডাউনে চলে গেল। তখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম করোনা মহামারী নিয়ে একটি উপন্যাস লিখলে কেমন হয়? ২৫ মার্চ থেকে আমি এটা নিয়ে ভাবতে থাকি। ৪-৫দিন ধরে ভাবনার পর আমি মহামারি নিয়ে লিখব- সিদ্ধান্তে পৌঁছাই। এজন্য জানুয়ারি থেকে করোনা নিয়ে যত নিউজ প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই অনলাইন থেকে সংগ্রহ করি। জানার ও বোঝার চেষ্টা করি কী ঘটছে দেশে এবং দেশের বাইরে। পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সন রাখা শুরু করি। মহামারি রিলেটেড কিংবা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বা রাজনীতি নিয়ে লেখা বই সংগ্রহ করে পড়তে থাকি। অনলাইনে অনেকের ইন্টারভিউ করি। দেশ এবং দেশের বাইরে অবস্থান করেন এমন অনেকের ইন্টারভিউ করেছি। তাদের বর্তমান সংকট, এ সংকট হতে পারে অর্থনৈতিক, হতে পারে রাজনৈতিক, হতে পারে পারিবারিক কিংবা তারা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেসব জানার চেষ্টা করি। পঠিত জ্ঞান, মানুষের জীবনযাপন পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তিগত উপলব্ধি মিলিয়ে লেখা হয় ‘বদলে যাওয়া ভূমি’ উপন্যাস। উপন্যাসটি বের করেছে ‘অনিন্দ্য প্রকাশ’।

আর প্রতিবন্ধকতা বলতে তখন সামনাসামনি বসে কথা বলার সুযোগ ছিল না। যা কথা হয় সব অনলাইনে। অডিও-ভিডিও কল, ফোনকলই তখন ভরসার বড়ো আশ্রয়। সবাই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছিল বলে ইনটারনেট বাফারিং করত। ইন্টারভিউ করতে সমস্যা হত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, বই পড়তে পড়তে এবং নোট নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। বোরিং ফিল করা শুরু করি। বোরনেস থেকে বিষণ্ণতা তৈরি হয়। তখন আমি ফ্ল্যাটে একা থাকতাম। কথা বলার মত বেশি মানুষ পেতাম না। উপন্যাস লেখার সময় কারো না কারো সঙ্গ আমার খুবই দরকার হয়। কারো সঙ্গে কথা বললে ক্লান্তি কেটে যায়। ফ্রেশনেস তৈরি হয়। উপন্যাস কিংবা পারিপার্শিক অনেক বিষয়ের গল্প শুনলে ভালোলাগা কিংবা মস্তিষ্কে সতেজতা তৈরি হয়। কিন্তু এ উপন্যাস লেখার সময় এমন সঙ্গ পাচ্ছিলাম না। যেটা আমাকে ভুগিয়েছে। আবার উপন্যাস খানিকটা এগিয়ে নেওয়ার পর ঈদের আনন্দে মজেছিলাম কিছুদিন। যার কারণে পুরো উপন্যাসটাই ভুলে গেছিলাম। কোথায় শেষ করেছিলাম। এরপর কীভাবে এগিয়ে নেব। এরপর কোন চরিত্র আসবে। সেসব কিছুই মনে ছিল না। পুরো উপন্যাসটা আবার শুরু থেকে পড়তে হয়েছিল।

নতুন উপন্যাসটি পাঠক মনে কীরূপ সাড়া ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?
আমি চেষ্টা করেছি পাঠককে ভালো কিছু উপহার দিতে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন মহামারী নিয়ে বাংলা সাহিত্যে পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস নাই। ‘বদলে যাওয়া ভূমি’ই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস মহামারী নিয়ে। এ উপন্যাসের পটভূমি কেবল দেশ নয়, বহির্বিশ্বও। আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রকৃতি, মানুষের সম্পর্ক বদলের আখ্যান এ উপন্যাস। বিশ্বরাজনীতির বড় একটি অংশ আছে এখানে। আমি পরিশ্রম করেছি, অনেক বিষয় যুক্ত করেছি, একটা তথ্যবহুল এবং ভালো মানের উপন্যাস পাঠককে উপহার দেওয়া চেষ্টা করেছি। এখন পাঠক যদি বইটি সংগ্রহ করেন, পড়েন এবং ফেসবুক-ইমেইলে তাদের মতামত দেন তাহলে সেটা ভালো একটি ব্যাপার হবে। এক্ষেত্রে পাঠকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তারা সাড়া দিলেই পড়বে ‘সাড়া’।

‘বদলে যাওয়া ভূমি’ বড় উপন্যাস। একটি আদর্শ উপন্যাস হিসেবে এটিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
২৭২ পৃষ্ঠার উপন্যাস। আদর্শ-অনাদর্শ নিয়ে আমি তো তেমন কিছু বলতে পারি না। এটা বলতে পারবে সাহিত্য সমালোচকরা। কথাসাহিত্যিকের কাজ হলো গল্প-উপন্যাস লিখে যাওয়া। আমি সে কাজটিই করেছি। বৃহৎ এক প্রেক্ষাপট উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। উপন্যাসের আঙ্গিকগত দিক থেকে বলতে গেলে বিষয় যেমন নতুন, তেমনি বর্ণনাকৌশলও নতুন। এর আগে বাংলা উপন্যাসে এই বর্ণনা কৌশল ব্যবহৃত হয় নাই। ব্যবহৃত হয়েছে ‘বদলে যাওয়া ভূমি’-তেই।

আপনার উপন্যাসের চরিত্র ও কাহিনির প্রেক্ষাপটে সমাজের নিম্নবর্গীয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা উঠে এসেছে অত্যন্ত যন্তের সাথে। উপন্যাস লেখার প্রেক্ষাপট হিসেবে এই শ্রেণি-বৈষম্যকে কেন বেছে নিলেন?
আমি গল্প-উপন্যাসে দেশ, সমাজ, মানুষের সংকটের কথা বলি। যেখানেই সংকট সেখানেই আমি সক্রিয় এবং সেটাই আমার লেখার বিষয়। এক্ষেত্রে নিম্নবর্গের মানুষদের সংকট একটু বেশিই অন্যদের তুলনায়। এ শ্রেণি সুবিধাবঞ্চিত এবং বেশি বৈষম্যের শিকার। আর তাদের কথা বলতে গিয়ে ‘তারা’ই বেশি গুরুত্ব পেয়ে যায়। আবার উপন্যাসের প্লাটফর্ম থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণিও বাদ যায় না। ‘বদলে যাওয়া ভূমি’-তে নিম্নবর্গ এবং মধ্যবিত্ত মিলেমিশেই উঠে এসেছে। করোনাকালে দু-শ্রেণিই সংকটে পড়েছিল সবচেয়ে বেশি। নিম্নবর্গ অন্য পেশাজীবীদের তুলনায় সামান্য হলেও মৌলিক জীবন যাপন করে। যে জীবনে অভিনয় কম, ভণ্ডামি কম কিন্তু সরলতা আছে, আছে মৌলিকত্ব। এ শ্রেণির প্রতি দুর্বলতার এগুলোও লক্ষণ।

বাংলা সাহিত্যে নদী কেন্দ্রিক অনেক উপন্যাস রচিত হয়েছে। তারমধ্যে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উলেখযোগ্য। ‘তিস্তা’ উপন্যাসটি লেখার পিছনে এই উপন্যাসগুলোর কোনো প্রভাব কি আছে?
না। আমি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ কিংবা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাস দিয়ে তাড়িত হইনি। কারণ ওই উপন্যাসদ্বয়ের প্রেক্ষাপট আর ‘তিস্তা’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট টোটালি আলাদা। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পছন্দের লেখক। তাঁর উপন্যাস আমি বহুবার পড়েছি। অদ্বৈত মল্লবর্মণ খুবই শক্তিমান কথাসাহিত্যিক। যে দুটি উপন্যাসের কথা বললেন তা ইতোমধ্যে ক্লাসিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের লেখক হিসেবেই অদ্বৈত মল্লবর্মণ আমাদের চিন্তা-মস্তিষ্কে অবয়ব নিয়ে রয়ে গেছেন আজ অবধি। ওই দুটি উপন্যাসেই পানি আছে, কিন্তু ‘তিস্তা’য় পানি নাই। পানিহীন কষ্টে থাকা তিস্তাবাসীর বিপর্যস্ত আখ্যান হয়ে উঠেছে ‘তিস্তা’। ওই উপন্যাসদ্বয়ের চরিত্র, কাহিনি নির্মাণ, উপস্থাপন, শুরু-বিস্তার-শেষ থেকে ‘তিস্তা’ সম্পূর্ণ আলাদা।

‘চাকরিনামা’ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আত্মউপলব্ধি নাকি যুঁতসই বাস্তবিক বিষয়চিন্তাটি মাথায় এসেছে? উপন্যাসের ঘটনার সাথে আপনার ব্যক্তিগত ও পারিপার্শিক অভিজ্ঞতার কোনো মিল আছে কি?
উপন্যাসে যে চরিত্রগুলো এসেছে এবং তারা যে চাকরিহীনতার সংকটে ভুগছেন এ সংকট বাংলাদেশে প্রকট। চাকরিহীনতা কিংবা উপার্জনের কোনো পথ না-থাকা মানুষের বড় প্রকারের অস্তিত্বের সংকট। এ সংকট আমাদের চারপাশে থাকা বা হাঁটাচলা করা মানুষের মাঝে বর্তমান। তাদের ভেতর সাসটেইন করা অবস্থাকেই ‘চাকরিনামা’য় উপজীব্য করেছি। বাস্তবতাটাই মুখ্য। এখন আর কল্পনা করে আরেক বাস্তবতা তৈরি করতে হয় না। কারণ বাস্তবতায় কল্পনার থেকে বেশি কিছু ঘটে। আত্মউপলব্ধি পোক্ত না হলে উপন্যাস লেখা সম্ভব নয়। আত্মউপলব্ধি, ব্যক্তিকতা, পারিপার্শিকতা সব মিলিয়েই সৃষ্ট ‘চাকরিনামা’।

বাংলাসাহিত্যে বর্তমান সময়ের কথাসাহিত্য পাঠক শ্রেণি বিনির্মাণে কীরকম ভূমিকা রাখছে? পাঠক কোন ধরনের উপন্যাসের প্রতি বেশি ঝুঁকছে বলে মনে হয় আপনার?
আপনি খেয়াল করে দেখবেন এখন পাঠক যা পড়ছে তা তো উপন্যাসই। কথাসাহিত্যের দুটি ভাগ, একটি গল্প, অন্যটি উপন্যাস। উপন্যাস পড়ছে বেশি, তারপর পড়ছে গল্প, তারপর প্রবন্ধ, তারপর কবিতা পড়ছে। কথাসাহিত্যই বেশি পাঠ হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত। যা পাঠক তা তো গল্প-উপন্যাসেরই।

পাঠক সব ধরনের বই-ই পড়ে। সামাজিক আখ্যান কিংবা প্রেম কাহিনি। সামাজিক আখ্যান রসকষহীন হওয়ায় পাঠে আগ্রহ কম পায়। সামাজিক কিংবা সামষ্টিক জীবন চেতনার উপন্যাসকে বলা হয় সিরিয়াস ধারার উপন্যাস। প্রেমকাহিনি হলো নন-সিরিয়াস ধারার। প্রেমকাহিনি পড়তেই পাঠক বেশি পছন্দ করা শুরু করেছে। কিন্তু এই পাঠকদের সিরিয়াস সাহিত্যও পড়া উচিত। কারণ সিরিয়াস সাহিত্যেই থাকে প্রকৃত সাহিত্যের স্বাদ। থাকে বৃহৎ জীবনের ক্যানভাস।

বাংলা কথাসাহিত্যে কোন কোন শ্রদ্ধেয় লেখকদের লেখা আপনাকে প্রভাবিত করে কিংবা কাদেরকে আপনি পুরোধা ব্যক্তিত্ব মনে করেন? তাদের কোন সৃষ্টিকর্মের জন্য।
সিনিয়রদের কথাসাহিত্য প্রভাব নয়, উৎসাহ বাড়ায়। পুরোধা ব্যক্তিত্ব বিষয়ে তো বলতে পারব না। আমি আমার পছন্দের লেখকদের কথা বলতে পারব। যেমন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রেমেন্দ্র মিত্র, মানিক-তারাশঙ্কর-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কমলকুমার মজুমদার, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্, শওকত ওসমান, শাহেদ আলী, সৈয়দ শামসুল হক, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহমুদুল হক, সেলিনা হোসেন, কায়েস আহমেদ, শহীদুল জহির প্রমুখ। কারো উপন্যাস, কারো গল্পের জন্য আমি তাঁদের পছন্দ করি।

পাঠকশ্রেণি বিবেচনা করে লেখক লিখবেন নাকি লেখক তাঁর নিজের কথাগুলোই চিন্তা করে লিখবেন? 
লেখক তাঁর নিজেরকথাই লিখবে, পাঠক সেটা নিজের মত করে আবিষ্কার করবে। অর্থাৎ লেখক নিজের পছন্দমত বিষয় বা প্রকরণে লিখবেন। পাঠক সেটাকে লেখকের হয়ে তাঁর মত গ্রহণ করবেন।

কথাসাহিত্যে কাব্যসাহিত্যের প্রভাব নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলুন।
কথাসাহিত্যে কাব্যসাহিত্যের প্রভাব থাকেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর উজ্জ্বল উদাহরণ।

আদর্শ কথাসাহিত্য বা উপন্যাস হতে হলে লেখার মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। ভাষার প্রায়োগিক দক্ষতা নাকি যুঁতসই গল্প ও প্রেক্ষাপট?
যুঁতসই গল্প আর প্রেক্ষাপট ভাষার প্রায়োগিক দক্ষতা কিংবা নির্মাণে তা নান্দনিক ও পাঠযোগ্য হয়ে উঠবে।

আপনার উপন্যাস ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
ক্রমাগত লিখে যেতে চাই। লিখতে লিখতে মরতে চাই।