টাঙ্গাইল যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
তবে হাইকোর্টের এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যাবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এ আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রানার দুটি মামলা কার্যতালিকায় ছিল। এর মধ্যে যুবলীগের ২ নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্ট বুধবার তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। আর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বিচারিক আদালতে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন আমানুর রহমান খান রানা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এর পরের বছর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তা তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ।
পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়া গত বছর আদালতে জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এমপি আমানুর রহমান খান রানার নির্দেশেই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল।