যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ভোররাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর ইউনিয়ন থেকে ডিএমপি’র সিটি-সাইবার ক্রাইম (সিটিসিসি) ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মূল আসামি ফিরোজ খন্দকার (২৮) ও তার সহযোগী মো রাকিবুল ইসলাম (২২)। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল-সিমসহ প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতারণাকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হলে মঙ্গলবার ভোররাতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থেকে মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের আরো তথ্য জানতে তাদের তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সকালে সিএমএম কোর্টের বিচারক আশেক ইমামের আদালতে তোলা হলো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হলে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সম্প্রতি আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে দেশের বিভিন্ন জেলার যুবলীগ নেতা–কর্মীদের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। পরশের পক্ষে মামলাটি করেছেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৯ তারিখে পরশের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, পাবনা জেলা যুবলীগের বিভিন্ন নেতার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করে যুবলীগের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কথা বলে টাকা দাবি করা হয়।
শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন পরশ। পোস্টের শিরোনাম ছিল ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি। যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সকলকে এই মর্মে সতর্ক করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ফোন করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাসহ নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে একটি প্রতারক চক্র। অনুগ্রহপূর্বক কেউ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিবেন না।’