যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কোনো শাস্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে সরকারের আপস করার কোনো সুযোগ নেই।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা। বক্তারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে একাত্তরের কালরাত্রিকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানান।
শাহরিয়ার কবির বলেন, একাত্তরের জনবিচার আন্দোলন এখনো প্রাসঙ্গিক। এই বিচার করতেই হবে। এই আন্দোলনকে এখন আরো বেগবান করতে হবে।
ব্লগার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয় আলোচনায়।
অধাপক অজয় রায় বলেন, জিডিপি বৃদ্ধি করে কী হবে, যদি দেশে মৌলবাদ থাকে, যদি দেশে প্রগতিশীল আন্দোলন না থাকে, প্রগতিশীলতার পক্ষে যদি সরকারের অবস্থান পরিস্কার না হয়। তাহলে জিডিপি বৃদ্ধি দিয়ে কিছুই হবে না।
জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দরকার।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারে সরকারের শতভাগ সমর্থন রয়েছে। এবং সেই জন্যই আমরা এতদিন পরেও বিচার সম্পন্ন করতে পারছি।
জাহানারা ইমাম স্মরক বক্তৃতা করেন ছায়ানটের সভাপতি অধ্যাপিকা সনজীদা থাতুন। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক অজয় রায় ও ছায়ানটকে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক-২০১৫ প্রদান করা হয়।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাবেশ ও র্যালি করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।