মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে নাগরিকত্ব আইন ২০১৬। এই আইন অনুযায়ী যারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছে ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী, সহায়তাকারী এমনকি তাদের সন্তানেরাও বাংলাদেশের নাগরিক হবার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-২০১৬ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ থেকে আলোচ্য আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে এখানে জন্মগ্রহণকারীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
সার্কভূক্ত ৮ দেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকেরা বৈবাহিক বা অন্য কোনো সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলে তাদের যে কোনো এক দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত রাষ্ট্র ছাড়া সব দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবে বাংলাদেশের নাগরিকরা। তবে বিচারপতি, এমপি ও সাংবিধানিক পদে অধিষ্টিত অবস্থায় কেউ দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয় বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন ২০১৬। বহিরাগমন, নাগরিকত্ব অর্জন, সংরক্ষণ,পরিত্যাগ, অবসান এসব বিষয়ে দ্যা সিটিজেনশিপ এ্যাক্ট ১৯৫১ এবং দ্যা বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেম্পোরারী প্রভিশনস) অর্ডার ১৯৭২ একীভূত করে এতে নতুন কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।
আইনে সার্কভূক্ত দেশ এবং মিয়ানমারের কোনো নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিক হলে তাদের যে কোনো এক দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হবে। দ্বৈত নাগরিকরা সাংবিধানিক পদে থাকতে পারবেন না।
এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।