যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার মাঝারি পাল্লার মিসাইল ছোঁড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করলে উপযুক্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
বেইজিং সতর্ক করে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলে চীন সরকার অলস দাঁড়িয়ে দেখবে না, পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে সেই ব্যবস্থার মধ্যে কী থাকছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি।
স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সই করা একটি পরমাণু অস্ত্র চুক্তি গত সপ্তাহে ছিঁড়ে ফেলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্রিলয়ার ফোর্সেস ট্রিটি’ নামক ওই চুক্তির কারণে এতদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা বা ব্যবহার করতে পারেনি।
ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে মিলে নতুন একটি চুক্তি করতে চান। আগের চুক্তিতে রাশিয়া থাকলেও স্বাভাবিকভাবেই চীন ছিল না।
কিন্তু ট্রাম্প এবার মিসাইল ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই চুক্তি বাতিল করে দেয়ায় এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কেননা নতুন চুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করলেও একই সঙ্গে ওয়াশিংটন ঘোষণা দিয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন ধরনের একটি মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করার।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পারও স্পষ্ট করে বলেছেন, আগের চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাওয়ার ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন বা নিক্ষেপ করতে পারে।
রাশিয়াও অবশ্য চীনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছে, আমেরিকা নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করলে তারাও বাধ্য হবে এর পাল্টা জবাব দিতে। তাই আরেকটি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রুশ সরকার আহ্বান জানিয়েছে।