গেল বছর ২০ অক্টোবর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। এক বছরের মাথায় সিনেমাটি এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ১৬টি মূলধারার মাল্টিপ্লেক্সে একযোগে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) থেকে উত্তর আমেরিকার এ দুটি দেশের দর্শক দেখতে পাবেন ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। এরমধ্যে টাইমস স্কয়ারের ফ্ল্যাগশিপ থিয়েটারও আছে। চমকপ্রদ এই খবরটি জানিয়েছেন বাংলাদেশী সিনেমার বিশ্ব পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র কর্ণধার মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ও কানাডায় একযোগে ১৬টি মাল্টিপ্লেক্সে বাংলাদেশি সিনেমার মুক্তি পাওয়া একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। টাইমস স্কয়ার ছাড়াও নিউইয়র্ক’র আরো ৩টি থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম, রেকর্ড তো অবশ্যই।
তালিকায় থাকা থিয়েটারগুলো হলো অ্যাস্টোরিয়ার রিগ্যাল ইউএ কাফম্যান অ্যাস্টোরিয়া এন্ড আরপিএক্স, জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাস এবং বেলমোর এর বেলমোর প্লেহাউস। এছাড়া লস এঞ্জেলেস, ইউনিয়ন সিটি (বে এরিয়া), ডালাস, প্ল্যানো, অস্টিন, হিউস্টন, ওয়েস্ট পাম বিচ, নর্থ মিয়ামি, ফেয়ারফেক্স, হ্যানোভার এর ১টি করে ‘সিনেমার্ক’ থিয়েটার এবং কানাডার টরন্টো ও উইনিপেগ শহরের ১টি করে ‘সিনেপ্লেক্স’ থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।
উত্তর আমেরিকায় এমন রেকর্ড মুক্তি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল । তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভালো চলচ্চিত্র বানানোর চেষ্টা করেছি। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো সেটিকে উত্তর আমেরিকা তথা পৃথিবীর সেরা সব থিয়েটারে অনেক বড় পরিসরে মুক্তি দিচ্ছে। এবার দর্শকদের পালা। তারা যদি দলে দলে থিয়েটারে যান তাহলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী সিনেমার অগ্রযাত্রা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
সিনেমার দুই অভিনয় শিল্পী ইমতিয়াজ বর্ষণ এবং শার্লিন ফারজানাও বিশ্ববাজারে এমন বিশাল মুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, সেখানকার দর্শক পর্দায় তাদের প্রেম ও পাগলামি উপভোগ করবেন দর্শক।
বিশ্ব পরিবেশক মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পেতে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতিটি চলচ্চিত্র নিয়মিত অন্তত ১ লাখ দর্শককে দেখানো। এজন্য এখানকার কমপক্ষে ১০০টি মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের প্রতিটি সিনেমা মুক্তি দিতে হবে যাতে সবাই তাদের পাশের থিয়েটারে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে পারে।
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ দিয়ে কোভিড পরবর্তী সময়ে শুরুটা করছি আমেরিকা-কানাডার ১৬টি থিয়েটার দিয়ে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে ২০২২ এর কোনও সিনেমা দিয়ে শতকের মাইল ফলক ছুঁতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি। হলিউড ও ইন্ডিয়ান সিনেমার পর তৃতীয় বৃহত্তম ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গড়ে উঠতে এভাবেই এগিয়ে যাবো আমরা।’
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর পরিবেশনায় ১৫ নম্বর সিনেমা। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৈকত সালাহউদ্দিন জানালেন, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাসের পরে ২০২২ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে একইদিনে কানাডা ও আমেরিকায় মুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশের বড় বড় সব সিনেমা।