চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ধ্বংস করতে পারবে না: হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা

হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে বলেছেন, কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এই কোম্পানির সর্বনাশ করতে পারবে না।

এ সময় রেন তার মেয়ে হুয়াওয়ে চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মেং ওয়াংঝাউ এর গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত’ হিসেবেই উল্লেখ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছে হুয়াওয়ে এবং মেং ওয়াংঝাউয়ের বিরুদ্ধে। সেসব অভিযোগের মধ্যে মানি লন্ডারিং, ব্যাংক জালিয়াতি ও বাণিজ্য গোপনীয়তা লংঘনের মতো অপরাধ রয়েছে।

তবে হুয়াওয়ের কোনো অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা। মেং গ্রেপ্তার হওয়ার পর রেন বিবিসিকে এই প্রথম সাক্ষাৎকার দেন।

তিনি বলেন, আমাদের ধ্বংস করার কোনো উপায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেই। বিশ্ব আমাদের ত্যাগ করতে পারবে না, কারণ আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। এমনকি তারা যদি অন্যান্য দেশকেও সাময়িকভাবে আমাদের পণ্য ব্যবহার না করতে প্ররোচিত করে। তখন আমরা খানিকটা পেছনে পড়তে পারি।

তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রথার পরিবর্তনের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও জোট দেশগুলোকে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শত্রুদের পাশাপাশি আমেরিকার সাথেও বন্ধুত্ব রাখা, সেটা মেনে নেওয়া ওয়াশিংটনের জন্য বেশ কঠিন।

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে হুয়াওয়ের ফাইভজি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের যন্ত্রপাতি আমদানী নিষিদ্ধ বা অবরোধের আওতায় এনেছে। আর কানাডা পর্যালোচনা করছে, সত্যিই প্রতিষ্ঠানটির উপকরণে কোনো ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা।

রেন বলেন, যদি পশ্চিম থেকে আলো চলে যায় তাহলে পূর্বে তা জ্বলজ্বল করবে। যদি উত্তর অন্ধকারে চলে যায়, তাহলে দক্ষিণে আলো থাকবে। আমেরিকা পুরো বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করে না। সেটা শুধু বিশ্বের একটা অংশের প্রতিনিধিত্ব করে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের আশঙ্কা, হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে কোনো ঝুঁকির তৈরি হলে সেটা তাদের টেলিকম প্রজেক্ট নিয়ন্ত্রণ নেবে।

যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু মোবাইল কোম্পানি যেমন: ভোডাফোন, ইই এবং থ্রি তাদের ফাইভজি নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্য হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করছে।

সেখানেও নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কার কথা বলা হলে রেন বলেন, আমরা এখনো যুক্তরাজ্যকে বিশ্বাস করি, আশা করি তারাও আমাদের বিশ্বাস করে। এরপরও আমরা সেখানে বিনিয়োগ করবো। যদি তারাও আমাদের নিষিদ্ধ করে তাহলে আমরা বিনিয়োগের বিষয়টা আরো বড় ক্ষেত্রে ভাববো।

গত ১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ভ্যানকুভার থেকে রেনের মেয়ে মেংকে গ্রেপ্তার করে কানাডা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২৩ টি অভিযোগ তোলা হয়েছে।