যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনীতে গোলাগুলির সময় পুলিশের গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। গারল্যান্ডের ডালাসে কার্টিস কুলওয়েল সেন্টারের বাইরে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রদর্শনীর আয়োজক ছিলো ‘আমেরিকান ফ্রিডম ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ’ নামের একটি সংগঠন, যারা নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছে ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলো।
গারল্যান্ডের যেখানে কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানেই গত জানুয়ারিতে স্থানীয় একটি ইসলামিক সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান হয়েছিলো। সেসময়ও এর বিরোধীরা কার্টিস কুলওয়েলের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলো।
গোলাগুলিতে একজন পুলিশ অফিসারও আহত হয়েছেন। হামলার পর সবাইকে সরিয়ে নিয়ে প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। নবী মুহাম্মাদ (সা:)-এর কার্টুন নিয়ে সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বছরের শুরুতে নবী মুহাম্মাদ (সা:)-কে নিয়ে কার্টুন প্রকাশের পর ফ্রান্সের শার্লি হেবদো ম্যাগাজিন অফিসে হামলায় সম্পাদকসহ নিহত হন ১২ জন।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, দুই অস্ত্রধারী একটি গাড়িতে করে এসে প্রদর্শনী কেন্দ্রের বাইরে নেমেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার দিকে গুলি শুরু করে। গারল্যান্ড পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। ফেসবুক পেজে শহর কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়, এই ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তা আশংকামুক্ত। তবে হামলাকারীদের পরিচয় এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনোকিছু জানাতে পারেনি গারল্যান্ড পুলিশ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা.)-কে নিয়ে আঁকা এই কার্টুন প্রদর্শনীতে নেদারল্যান্ডের রাজনীতিবিদ গির্ট ওয়াইল্ডার্সও অংশ নিতে এসেছিলেন। পুলিশের সহায়তায় ভবন থেকে বের হওয়ার পর নিজেই তা টুইট করে জানিয়েছেন তিনি।
২০০৬ সালে ডেনমার্কের জাইল্যান্ড-পোস্টেন নামের একটি পত্রিকা মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শন করলে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্যারিসে একই ধরনের কার্টুন প্রকাশ করায় বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শারলি এবদোতে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করে দুই বন্দুকধারী।