ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যার শিকার হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির বড় ছেলেসহ তার পরিবার সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি সৌদি সরকারের সমালোচনা করায় সৌদি ত্যাগে তার পরিবারের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। জামাল খাশোগি হত্যার তিন সপ্তাহ পর শুক্রবার তার পরিবার সৌদি ত্যাগ করতে পারলেন।
খাশোগি হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে গত রোববার তুরস্কে যান সৌদি সরকারের পাবলিক প্রসিকিউটর সৌদ আল-মোজেব।এর তিন সপ্তাহ আগে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট টেলিভিশনে দেয়া এক ঘোষণায় সৌদি সরকারের পাবলিক প্রসিকিউটরকে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটিং অথরিটির সঙ্গে সাক্ষাত করতে আহ্বান জানান। এছাড়া তুরস্কের কাছে অনেক প্রমাণ রয়েছে যা এখনো তুরস্ক প্রকাশ করেনি বলেও জানান তিনি।
সৌদি সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, জামাল খাশোগির মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছে এবং তাকে হত্যায় স্থানীয় সহযোগীর নাম প্রকাশ করতে সৌদির প্রতি আহ্বান জানান।
সৌদি প্রসিকিউটর সৌদ আল-মোজেব বৃহস্পতিবার বলেন, জামাল খাশোগি হত্যা একটি পরিকল্পিত ঘটনা।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি। প্রথম দিকে সৌদি সরকার অস্বীকার করলেও, পরে সৌদির পক্ষ থেকে কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করা হয়।
কিন্তু এই ব্যাখ্যা সত্য নয় বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে তুরস্ক। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য ও বিস্তারিত সৌদি সরকারকে প্রকাশ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা।