যুক্তরাষ্ট্রসহ এগারোটি দেশে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনাম শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ টিপিপি নামের বিলটি অনুমোদন করলে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কঠিন প্রতিযোগিতার পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারক ও বিশ্লেষকরা।
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও রানা প্লাজা ধস ও জিএসপি স্থগিতে ২০১৩ সালের পর থেকে দেশটিতে পোশাক রপ্তানির হার নিম্নমুখী। ১৩ সালে যেখানে রপ্তানি ছিলো ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সেখানে চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন। কংগ্রেসে বাতিল হওয়ার পরও ওবামা প্রশাসনের একক উদ্যোগে পাশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্তকারী ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ- টিপিপি বিল।
সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মনে করেন, টিপিপি অনুমোদনে বাড়তি সুবিধা পাবে ভিয়েতনাম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত শীর্ষ ১০ টি পণ্যকে ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। বিশেষত পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ১৫% শুল্ক দিতে হলেও টিপিপি’র সুবিধা থাকায় ভিয়েতনামকে এই খরচ দিতে হবে না ।
নিমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে এমনিতেই মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতার মুখে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা। জিএসপি স্থগিতের প্রভাব কাটেনি। অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বেড়েছে খরচও। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা জাপানসহ বাংলাদেশের প্রধান ১০টি পোশাক রপ্তানির দেশে ভিয়েতনাম শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলে তার নেতিবাচক প্রভাব ঠেকানো যাবে না বলে মনে করেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, টিপিপি’র মাধমে এক অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য আগাম ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে ওবামা প্রশাসনকে বিরত রাখতে দরকষাকষি ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সরকার ও নীতির্ধারকদের আহবান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ও বিশ্লেষকরা।