যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় সিনাগগে জিম্মির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
গত শনিবার কলিভিল শহরে জিম্মিকারীর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে ১০ ঘণ্টার জিম্মি নাটকের অবসান ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই নিহত জিম্মিকারীকে মালিক ফয়সাল আকরাম বলে চিহ্নিত করেছে। তিনিও একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিটেনের সন্ত্রাস দমন পুলিশ দুই ব্যক্তিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদেরকে দক্ষিণ ম্যানচেস্টার থেকে আটক করা হয়।
গ্রেটার ম্যানচেষ্টার পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আটক ব্যক্তি তাদের হেফাজতে রয়েছে।
টেক্সাসের কংগিগ্রেশন বেথ ইসরায়েল নামের সিনাগগে সাবাথের প্রার্থনার সময় ঘটনার সূত্রপাত হয়। ফেসবুকে চলা লাইভ অডিওতে এক ব্যক্তিকে চেঁচিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বোনকে ফোন দিন। আমি মরতে চলেছি।’
লোকটি আরো বলে, ‘আমেরিকার কোনো একটা সমস্যা হয়েছে।’ এর কিছুক্ষণ পরেই আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, ডালাসের উপকণ্ঠের ওই সিনাগগের যাজকসহ চার ব্যক্তিকে জিম্মি করা হয়েছিল। ঘটনার অবসানের আগে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। উদ্ধারকারী দল সিনাগগের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। তবে ঠিক কীভাবে জিম্মিকারীর মৃত্যু হলো তা জানা যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জিম্মির ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদ এবং ইহুদিবিদ্বেষী’ কাজ বলে নিন্দা করেছেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জিম্মিকারী আফিয়া সিদ্দীকির মুক্তি চেয়েছিলেন। আফিয়া পাকিস্তানি স্নায়ুরোগবিশারদ এবং বর্তমানে কারাবন্দি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। আফগানিস্তানে বন্দি থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাচেষ্টার দায়ে তাকে ওই সাজা দেয়া হয়।
এই জিম্মি ঘটনা ইহুদি সংগঠনগুলোর মধ্য উদ্বেগ তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি বিদ্বেষ ও চরমপন্থার উত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।