যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তালিকায় নতুন তিনটি দেশের নাম যুক্ত করেছে। দেশ তিনটি হচ্ছে নর্থ কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও চাদ। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী দেশগুলোর নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারবে না।
নর্থ কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন তিক্ত বাকযুদ্ধে লিপ্ত কয়েক দিন ধরেই। উভয়েই পারমানবিক অস্ত্র দিয়ে একে অন্যের দেশ ধ্বংস করে দেওয়ার মতো হুমকি দিচ্ছেন। সর্বশেষ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিওয়ানবি ল্যান্সার বোমারু ও যুদ্ধবিমান নর্থ কোরিয়া পূর্ব উপকূল দিয়ে উড়ে যায়।
আগে থেকেই ৫টি দেশ ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো। নতুন ঘোষণায় সুদানের উপর যে বিধিনিষেধ ছিলো তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদেশী সরকারগুলোর পাঠানো তথ্য যাচাই করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাদের মাধ্যমে আমাদের নিরাপত্তায় ঝুঁকি রয়েছে তাদের আমরা প্রবেশ করতে দেবোনা।’
নতুন নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়া ও চাদের সব নাগরিকের উপর প্রযোজ্য হলেও ভেনেজুয়েলার নিষেধাজ্ঞাটি শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আগে থেকেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকা ৫ টি দেশ মুসলিম প্রধান হওয়ায় তা নিয়ে জোড় সমালোচনা ছিলো। এই পদক্ষেপকে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ বলা হচ্ছিলো। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন রাইটস গ্রুপ জানায়, নতুন তিনটি দেশের অন্তূর্ভূক্তর মাধ্যমেও ট্রাম্প প্রশাসন এড়াতে পারে না যে এটা মুসলিম নিষেধাজ্ঞা।