মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নর্থ কোরিয়ার ৩ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
নর্থ কোরিয়ার দাবি, নতুন এই অবরোধের জবাব হিসেবে তারা চাইলে কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পথ চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিতে পারে।
রোববার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নর্থ কোরীয় প্রশাসন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় তারা অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছে। এতে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে দেশটি।
নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ’তে প্রচারিত বিবৃতিতে দেশটি অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট করে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কোনো নেতার প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হওয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল।
ওই বৈঠকের পর থেকে আবারও নর্থ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়েছে। কিন্তু নর্থ আবার এমন কাজও করেছে যার ফলে দুই দেশের মধ্যকার অস্থিরতা অনেক ক্ষেত্রে কমে এসেছে।
সম্প্রতি কিম এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হতে পারে বলে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। ট্রাম্পও তার কথাবার্তায় বুঝিয়েছিলেন তিনিও আরেকবার নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় যেতে আগ্রহী।
কিন্তু চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প সরাসরি বলে দেন, বৈঠকের জন্য তার কোনো তাড়াহুড়ো নেই।