যে সব ওসিরা পুলিশ স্টেশনকে জমিদার বাড়ি মনে করেন এবং নিজেদের আচরণও জমিদারের মতো তাদের জন্য ওসি মোয়াজ্জেমের সাজার রায় অশনি সংকেত।
আদালতের রায়ের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন এ মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন: সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি অন্যায়ভাবে নুসরাতের ভিডিও করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে আদালত তাকে আট বছরের সাজা দিয়েছেন এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, কারণ নুসরাত নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। যার ফলে সফলতার সঙ্গে আমরা মামলাটি শেষ করতে পেরেছি। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ধন্যবাদ, তাদের সুন্দর একটি তদন্তের জন্য আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
সারা দেশে পুলিশ স্টেশনগুলোকে যেসব ওসিরা জমিদার বাড়ি মনে করেন এবং যেসব ওসিদের আচরণও জমিদারের মতো এ রায় তাদের জন্য অশনি সংকেত। এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো পুলিশের বিরুদ্ধেও বিচার পাওয়া সম্ভব।
আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন: ভিডিওতে দেখা গেছে নুসরাত তার নেকাব খুলতে চায়নি এবং ভিডিওতে নুসরাত বার বার মুখ দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে চাইছিলেন। এ থেকে বোঝা যায়, নুসরাত ভিডিওর বিষয়ে কনসার্ন ছিলেন না। যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ করতে এসে থানায় আবারও নুসরাত যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ওসি হিসেবে মোয়াজ্জেমের যে দায়িত্ব ছিল, তিনি সে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এজন্য আদালত তার সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা মামলায় আট বছরেরর কারাদণ্ড দেন।