ফেনীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর ও পৌরসভা এলাকায় বোমা বিষ্ফোরণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জেএমবির সদস্য মো. রেদওয়ানুল হক ওরফে রেদওয়ানের জামিন প্রত্যাহার করেছে হাইকোর্ট।
গত ১৪ তারিখে দেওয়া জামিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে পর সোমবার প্রত্যাহার করে জামিন আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসিনা জাহান হাজারী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ রেজাউল হক।
আজ জামিন আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জামিন আবেদনকারীর আইনজীবী এর আগে শুনানিতে বলেছিলেন তার আবেদনকারী গরীব। এই মামলায় তার বিষয়ে কিছু বলা নেই। সে আগে আর জামিন আবেদন করেননি এবং ১৫ বছর ধরে কারাগারে আছেন। এরপর আদালত গত ১৪ জানুয়ারি আসামিকে জামিন দেয়। কিন্তু পরে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে ফাইল ঘেঁটে দেখি আবেদনকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য। ফনীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর ও পৌরসভা এলাকায় ২০০৫ সালে বোমা হামলায় জড়িত। সে ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ১৫ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। সর্বশেষ রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত আদেশটি রিকল করা হয়। এরপর আজ হাইকোর্ট ওই আসামির জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।’
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের অন্যান্য জেলার মত ফেনীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর ও পৌরসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)। সে ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর এই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে কারাগারেই আছে তিনি। এরপর বিচারিক কাজ শেষে ২০০৬ সালে ফেনী জেলা জজ আদালত মামলার রায় দেয়। রায়ে ৬ মামলার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রেদওয়ানুল হক ওরফে রেদওয়ান। একপর্যায়ে তার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।