চার-ছক্কার খেলা টি-টুয়েন্টির পসরা শেষ হল শুক্রবার। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের পর্দা নেমেছে। এবারও ব্যাটে-বলে জমেছিল লড়াই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ঘরে গেছে শিরোপা। ফাইনালের মঞ্চে তামিম ইকবাল ৬১ বলে অপরাজিত ১৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছেন। অনেকের ব্যাটই হেসেছে টুর্নামেন্টজুড়ে। দেখে নেয়া যাক রানে সেরা দশে কারা-
রাইলি রুশো: এবারের বিপিএলে সবচেয়ে চমকে দেয়া ব্যাটসম্যান তিনি। সবচেয়ে ধারাবাহিকও। আসরের শুরুতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাট হাতে একাই টেনেছেন সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। দল ধুঁকলেও নিয়মিতই হেসেছে তার ব্যাট। ১৪ ম্যাচে পাঁচ ফিফটির সঙ্গে তার ব্যাটে একটি সেঞ্চুরিও দেখেছে বিপিএলের দর্শকরা। ১৫০ স্ট্রাইকরেটে ৫৫৮ রান করে সবার ওপরে প্রোটিয়া বাঁহাতি রুশো। সেরা অপরাজিত ১০০।
তামিম ইকবাল: ফাইনালে কী ইনিংসটাই না খেললেন! ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১৪১ দেশিদের মধ্যে তো বটেই, এবারের বিপিএলেরই সেরা! পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধীরে চলা তামিম এক ফাইনালেই সব পুষিয়ে দিয়েছেন। ১৪ ম্যাচে ৪৬৭ রান করে টুর্নামেন্টের শেষ টেনেছেন টাইগার ওপেনার। স্ট্রাইকরেট ১৩৪-এর কাছাকাছি। ফাইনালের সেঞ্চুরির পাশে শোভা পাচ্ছে দুটি ফিফটিও।
মুশফিকুর রহিম: দেশিদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’। এলিমিনেটর থেকে দল চিটাগং ভাইকিংস বিদায় নেয়ায় রান বাড়ানোর সুযোগ পাননি। ১৩ ম্যাচে ৪২৬ রান করেছেন ভাইকিংস অধিনায়ক। ফিফটি তিনটি। ১৩৯ স্ট্রাইকরেটের সঙ্গেও ব্যাটিং গড়টাও সমীহ জাগানিয়া, ৩৫.৫০! সেরা ইনিংস ৭৫।
নিকোলাস পুরান: গ্রুপপর্বে আগেই বিদায় নেয়ায় ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে খেলায়নি সিলেট সিক্সার্স। সেই ম্যাচ আর এলিমিনেটর খেলতে পারলে হয়তো রুশোর কাছাকাছি থাকতে পারতেন পুরান। খেলছেন মোট ১১ ম্যাচ। এই ১১ ম্যাচেই সেরা চারে থাকাটা প্রমাণ করে ব্যাট হাতে কতটা ধারাবাহিক ছিলেন পুরান। তিন ফিফটিতে করেছেন ৩৭৯ রান। স্ট্রাইকরেট ১৬০। সেরা অপরাজিত ৭৬।
লরি ইভান্স: ঢাকা ডায়নামাইটসকে কাঁপিয়ে সেরার লড়াইয়ে যে চমক রাজশাহী কিংস দেখায়, তার অনেকটা কৃতিত্ব নিতে পারেন ইভান্স। ব্যাট হাতে দলকে একা টেনেছেন। এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১১ ম্যাচে এক শতক ও দুই অর্ধ-শতকে ৩৩৯ রান করেছেন এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান। স্ট্রাইকরেট ১৩৭। সেরা অপরাজিত ১০৪।
এছাড়া ১৫ ম্যাচে ৩১৭ রান করে ছয়ে আছেন ঢাকা ডায়নামাইটস ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার। ১০ রান কম করে তার ঠিক পরেই অবস্থান ভাইকিংসের ইয়াসির আলীর। মাত্র ৮ ম্যাচ খেলে ৩০৪ রান করে আটে স্থান অ্যালেক্স হেলসের। চোটের কারণে দেশে ফেরত না গেলে হয়তো সেরা পাঁচে থাকতেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৩০১ রান করে নয়ে থেকে বিপিএল শেষ করেছেন সাকিব আল হাসান। ২৯৯ রানে ঠিক তার পরেই অবস্থান ঢাকার অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের।