চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

যাদের আলো জ্বলবে না বিশ্বকাপে

অপেক্ষার প্রহর শেষের ধাপে। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং সর্বাধিক দেখা ক্রীড়া ইভেন্ট মাঠে গড়ানো থেকে মাত্র ১১দিন দূরে। ফুটবল বিশ্বযজ্ঞের সবচেয়ে বড় এ আসরে শিরোপার জন্য ‘যুদ্ধে’ নামবে ৩২টি দেশ। যাতে থাকবেন না এক ঝাঁক তারকা ফুটবলার।

বাছাইপর্ব থেকেই সমর্থকদের বিস্ময় উপহার দিয়েছে এই বিশ্বকাপ। ইতালি, চিলি এবং নেদারল্যান্ডসের মতো পরাশক্তি কোয়ালিফাই করতে পারেনি। দলগুলোর মতো অ্যালেক্সিস সানচেজ, আর্তুরো ভিদাল, মার্কো ভেরাত্তি, লিওনাদ্রো বোনুচ্চি, রবিন ফন পার্সি, মারিও বালোতেল্লি এবং মেম্পিস ডিপাইয়ের মতো তারকারও রাশিয়া যেতে পারছেন না।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

সঙ্গে কিছু ক্ল্যাসিক খেলোয়াড়- লরেন্ট কোসিয়েনলি, দানি আলভেজ, অ্যালেক্স অক্সালেড-চেম্বারলিন, অ্যালেকজান্দ্রার কোকোরিন এবং লার্স স্টিন্ডেলের মতো ফুটবলাররা দলে নেই মারাত্মক ইনজুরির কারণে। এমন কয়েকজন তারকাও আছেন, যাদের অনুপস্থিতি মিস করবেন ফুটবলপ্রেমীরা।

জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি)
বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম আতঙ্কজনক এবং প্রভাবশালী এ খেলোয়াড়কে মিস করবে ভক্তরা। ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ইতালি কোয়ালিফাই করতে না পারায় আজ্জুরিদের বেশ কয়েকজন তারকাকে বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে না। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম গোলরক্ষক বুফন।

বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা লিজেন্ড বুফন। সমান আবেগ এবং উৎসাহ নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় ফুটবল খেলেছেন। ৪০ বছরের বুফো এখনও একজন গ্রেট লিডার এবং আত্মোৎসর্গ ও অনুপ্রেরণার প্রতিমূর্তি। আজ্জুরিদের নীল জার্সিতে ১৭৬টি ম্যাচে খেলেছেন। দলের পাঁচটি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নাম ছিল তার।

আরিয়েন রোবেন (নেদারল্যান্ডস)
দল বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইতে ফেল করার পরই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন আরিয়েন রোবেন। ২০১০’র ফাইনালিস্ট ও ২০১৪’র সেমিফাইনাল্টি কমলা রঙের জার্সির দলের অন্যতম সফল সদস্যও ছিলেন তিনি।

কমলা জার্সিতে ১৪ বছর খেলেছেন রোবেন। সময়টাতে বিশ্বকাপে গোল করেছেন ৬টি। ৩৭ গোল নিয়ে জাতীয় দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার তিনি। ক্যারিয়ারের কিছু বিস্ময়কর গোলের জন্য ডাচদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের মধ্য অন্যতমও তিনি। ফুটবলে তার সামর্থ্য এবং উদ্দীপনার জন্য বিশ্বকাপ অবশ্যই রোবেনকে মিস করবে।

দানি আলভেজ (ব্রাজিল)
ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ মিস করছেন দানি আলভেজ। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের হয়ে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়েন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ব্রাজিলিয়ান জনপ্রিয় ফুটবলারদের মধ্য অন্যতম পিএসজির এ রাইটব্যাক। ড্রেসিংরুমের জনপ্রিয় মুখ আলভেজের অভিজ্ঞতা মিস করবে তার দল-সতীর্থরাও। আর ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা মিস করবে তাদের প্রিয় তারকাকে।

বিখ্যাত হলুদ জার্সি গায়ে ১০৬টি ম্যাচ খেলেছেন আলভেজ। আগের দুটি বিশ্বকাপেও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সেট পিচে তার দক্ষতা এবং গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে তার সক্ষমতার জন্যও বিশ্বকাপ মিস করবে আলভেজকে।

গ্যারেথ বেল (ওয়েলস)
২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের অন্যতম নায়ক রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি বিশ্বকাপে থাকলে বেশিরভাগ ফুবটল সমর্থকই খুশি হতেন।

দুর্বল ক্যাম্পেনের কারণে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই পর্ব উতরাতে পারেনি ওয়েলস। এই মুহূর্তে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় তারকাদের একজন বেল। তিনি থাকলে বিশ্বকাপে উজ্জ্বলতা আরও খানিকটা বাড়ত নিশ্চিতভাবেই।

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (সুইডেন)
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম আলোচিত খেলোয়াড় জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। যিনি নিজেই বলেছেন, ‘যে বিশ্বকাপে ইব্রাহিমোভিচ নেই, সেটা কোনো বিশ্বকাপই না’। সেই ইব্রা রাশিয়া বিশ্বকাপে নেই, তার বীরত্ব অবশ্যই মিস করবে বিশ্বকাপ ও ফুটবলপ্রেমীরা।

ক্লাব ফুটবলটা চালিয়ে গেলেও ২০১৬ ইউরোর পরই আন্তর্জাতিক জার্সি তুলে রেখেছেন ইব্রা। অনেক বিস্ময়কর গোলের জন্য পরিচিত ইব্রার ক্যারিশমা মিস করবে সুইডেন ও বিশ্বকাপ। আলোচিত-সমালোচিত সুইডিশ তারকা জাতীয় দলের হয়ে ১১৬ ম্যাচ গোল করেছেন ৬২টি।