মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকার ৮ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে প্রথমবারের মতো খালাস পেয়েছেন এক আসামি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদারের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, পাঁচ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন; এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল।
আর ২০ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন; মো.খলিলুর রহমান মীর, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান।
খালাস পেয়েছেন আব্দুল লতিফ। প্রায় ১১ বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের পর তিনিই প্রথম কোনো ব্যক্তি, যিনি বিচারিক প্রক্রিয়ায় খালাস পেলেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এই মামলার তদন্ত শুরু হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনে ট্রাইব্যুনাল ওই বছরের ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
পরবর্তীতে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধের অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ আসমিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
এরপর সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রাখার পর আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
এই মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। পরে বিচার কাজ চলা অবস্থায় কারাগারে থাকা আসমি মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার মারা যান। আর পলাতক অবস্থায় মারা যান আসামি নুরুল আমিন শাজাহান।
বাকি ৯ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মো.খলিলুর রহমান মীর, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ।
বাকি চার আসামি এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান পলাতক রয়েছেন।