ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধের অনেক বীরাঙ্গনা থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন মাত্র চারজন। স্বীকৃতি পাওয়ারা হলেন হালিমা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, ময়মনা খাতুন এবং জাহেরা খাতুন। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পর জীবনের পাওয়া না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বীরমাতারা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন কয়েকশ’ বীরমাতা। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর তাদের মাঝে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বীরাঙ্গনাদের স্বজনরা বলেন, সরকার এখন যে স্বীকৃতি দিলো তাতে আমরা খুশি এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে সন্তোষও প্রকাশ করেন তারা।
বীরমাতা হালিমা খাতুন বলেন, আমাদের সরকার মুক্তিযোদ্ধা বানাইছে আমরা তাতেই খুশি।
আরেক বীরমাতা জাহেরা খাতুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এতে আমরা খুশি হয়ছি।
তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বীরঙ্গনা অনুসন্ধানকারী এটিএম রবিউল করিম। ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণাকারী এটিএম রবিউল করিম বলেন, আমরা ১৬ জনকে নিয়ে আবেদন করেছিরাম সেখান থেকে ৪ জন স্বীকৃতি পেয়েছে।
বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধারাও। ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আনোয়ার হোসেন বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম-সাময়ীক অবদান তাদের। তাদের এ অর্জন সেই সমসাময়িক অর্জনেরই প্রকাশ। আর বর্তমান সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত।
সরকার সারা দেশ থেকে বীরাঙ্গনাদের খুঁজে বের করে সম্মান জানাবে এমনটাই প্রত্যাশা বীরমাতাদের।