যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো সব অভিযোগ নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন ওলে গানার সলশেয়ার। নতুন মৌসুমে বাজে এক শুরুর পর খেলোয়াড়দের দিকে আঙুল তুলতে নিষেধ করে নিজেকে দেখিয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নরওয়েজিয়ান কোচ।
২০২০-২১ মৌসুমে তিন ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরে বসে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই তিন ম্যাচে সব মিলিয়ে ৯ গোল হজম করেছেন রেড ডেভিল গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। যে দুই ম্যাচ হেরেছে সলশেয়ারের দল তার একটিতে আবার সাবেক কোচ হোসে মরিনহোর দল টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ৬ গোল হজম করার লজ্জাও আছে তাদের।
শুরু দেখে যেমন দিনের বাকিটা কেমন যাবে বলে দেওয়া যায় তেমনি মৌসুমের আগেভাগেই লজ্জা পাওয়ার পর যথারীতি খেলোয়াড় আর কোচকে নিয়ে গালমন্দের তুবড়ি ছোটাচ্ছেন সমর্থকরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডের আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে গেছে গুঞ্জনে, টটেনহ্যামের সাবেক কোচ মউরিসিও পচেত্তনির হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে রেড ডেভিলদের দায়িত্ব। ছাঁটাই হবার খুব কাছে সলশেয়ার।
চাকরি থাকুক বা নাই থাকুক, আগে তো সমালোচনা থামাতে হবে! পেশাদার কোচ হিসেবে তাই সব দোষের ভাগীদার বনে গেছেন একটা সময় ম্যানইউতে ‘বেবিফেস অ্যাসাসিন’ খেতাব পাওয়া সলশেয়ার। গোল ডটকমকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কারও কিছু বলতে মন চাইলে তাকেই যেন বলা হয়।
‘কিছু বলতে চাইলে আমাকেই বলুন কারণ আমি এখানে ম্যানেজার এবং সব কিছুর জন্য আমিই দায়ী। আমি আমার হাত তুলে রাখলাম।’
মৌসুমে ম্যানইউর একমাত্র জয় ব্রাইটনের বিপক্ষে, সেটাও আবার ব্রুনো ফার্নান্দেসের পেনাল্টির কল্যাণে। নিজেদের শিষ্যদের সমালোচনা সহ্য করার সাহস ও শক্তি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সলশেয়ার।
‘ম্যানইউর খেলোয়াড় বা সদস্য হলে এসব সমালোচনা সহ্য করার মত মানসিকতা থাকতেই হবে, খেলোয়াড়দের সামনে এটাই সুযোগ প্রমাণ করার যে আমি তাদের উপর কতটা ভরসা রাখি। এখন সামনের ম্যাচের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ আমি বিশ্বাস করি এই খেলোয়াড়দের সবগুলো ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে উঠার সামর্থ্য আছে।’