ম্যাচ শেষে ক্যামেরাটা ঘুরে গেল ওলে গানার সলশেয়ারের মুখের দিকে। চেহারাটা আপাত দৃষ্টিতে শান্তশিষ্ট মনে হলেও চোখে রাজ্যের অস্বস্তি আর হতাশা। নিজ মাঠে বার্সেলোনার মতো দলের বিপক্ষে হারের কষ্টটা হয়ত সয়ে নেয়া যায়, কিন্তু জয়সূচক গোলটি যদি আসে নিজ দলের খেলোয়াড়ের অবদান দিয়ে, তাহলে আফসোস বাড়েই! বুধবার রাতে শেষপর্যন্ত এমন অনুভূতি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানইউর মাঠ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সা। সেই গোল এসেছে লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজের অসাধারণ যুগলবন্দীতে, তবে তাতে বড় বেশি অবদানটা লুক শোর। স্বাগতিক ডিফেন্ডার বার্সার দুর্দান্ত আক্রমণটি ঠেকাতে গিয়ে উল্টো কুড়াল মেরেছেন নিজেদের জালেই! সেই গোলই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ দিয়েছে কাতালানদের।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খুব একটা আহামরি খেলেনি বার্সা। স্বাভাবিকভাবে বল পায়ে প্রতিপক্ষের ওপর যেভাবে প্রভাব বিস্তার করে খেলেন মেসিরা, সেটাই খেলেছেন। এভাবে খেলতে গিয়ে ১২ মিনিটে সুয়ারেজ বরাবর বল দেন মেসি। উরুগুয়ে তারকা মাথাও ছুঁয়েছিলেন জালমুখে। সেই বল লুক শোর গা ছুঁয়ে অনেকেটা দিক পাল্টে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বার্সা!
মেসিকে ঠেকাতে রক্ষণাত্মক কৌশল সাজিয়েছিলেন ম্যানইউ কোচ। গোল হজমের পর সেই কৌশলের একদমই বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে ম্যানইউ রক্ষণ। ৩৬ মিনিটে সুযোগে কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়াতে গিয়েও ব্যর্থ ফিলিপে কৌতিনহো। আর ৬৫ মিনিটে দারুণ আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেজ।
তবে এই ম্যাচে বার্সাকে ভয়ে রেখেছিলেন মেসি নিজেই। ৩১ মিনিটে ক্রিস স্মলিংয়ের আচমকা তেড়ে আসার ফলে হওয়া সংঘর্ষে নাকে আঘাত পেয়ে মাটিতে লটিয়ে পড়েন বার্সা অধিনায়ক। রক্তও ঝরেছে। মাঠের বাইরেও যেতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুক্ষণ পর ফিরে কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দেকে স্বস্তি দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।