জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ঘরের মাঠে সিরিজ হারের কারণেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ হারিয়েছিলেন নেতৃত্ব। হাথুরুসিংহে কোচ হয়ে ফিরিয়ে দেন হারানো মর্যাদা। নতুন শুরুটাও ভাল হল না ম্যাথুজের, হাথুরুরও। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ রানে হেরে মাঠ ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা ম্যাথুজের কণ্ঠে ঝরল বোলিং নিয়ে হতাশার কথা, ‘আমরা কিছুটা হতাশ। ভাল খেলতে পারিনি। নতুন বলে শুরুটা বাজে হয়েছে। প্রথম ১০ ওভারে ওদের দারুণ শুরু করতে দিয়েছে বোলাররা। মাঝে আমরা ফিরেছিলাম। শেষ কিছু ওভারে আবার তারা উইকেট ধরে রেখে ভাল খেলে গেছে। থিসারা ও আসিলা ভাল করেছে। আমরা মাঠে তাদের মতো ভাল করতে পারিনি।’
ম্যাথুজ টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে বেঁধে রাখতে। আগেরদিন যারা বাংলাদেশের সঙ্গে দুইশ রানের আগেই গুটিয়ে গেছে, তাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকবে এমনটা ধরেই। কিন্তু উল্টো লঙ্কান বোলাররাই ২২ গজে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে বসলেন।
দারুণ সূচনা এনে দেয়া হ্যামিল্টন মাসাকাদজা থামেন ৭৩ রানে। পাঁচ নম্বরে নেমে করা সিকান্দার রাজার ৬৭ বলে ৮১ রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়ে তোলে ২৯০ রান। জবাবে কুশল পেরেরা ৮০ ও থিসারা পেরেরার ৩৭ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও ১১ বল আগে ২৭৮ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ না শ্রীলঙ্কা, ত্রিদেশীয় সিরিজে কাকে বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে? এমন প্রশ্নে মঙ্গলবার তুলনায় যেতে চাননি ম্যাথুজ। শক্তির বিচার করলে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। জিম্বাবুয়েকে কেন বারবার ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ বলছিলেন বুধবার মিরপুরে সেটিও বুঝেছে তার দল।
ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতে ১০ ওভারে ৫৪ রানে এক উইকেট। সিকান্দার রাজা হয়েছেন ম্যাচসেরা। প্রথম ম্যাচেও দেখিয়েছেন অলরাউন্ড নৈপুণ্য। বাংলাদেশে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের রহস্য জানতে চাওয়া হলে রাজা বললেন, ‘বিপিএল খুব কাজে দিয়েছে। এখানে ও চট্টগ্রামে খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা খুব কাজে দিয়েছে।’
লঙ্কা-বধ নিয়ে রাজা বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের পেছনে আছে আত্মবিশ্বাস, চারিত্রিক উৎকর্ষতা এবং পারস্পারিক বিশ্বাস। ২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে যাওয়ার আগে সব দলকেই আমরা একটি বার্তা দিতে চাই, প্রতিটি দলের বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে।’
রাজার দল সব প্রতিপক্ষে চোখ রাখাতে পারবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। আপাতত শ্রীলঙ্কা তাদের খড়গের নিচে আছে। সর্বশেষ ৬ বারের দেখায় শ্রীলঙ্কাকে ৪ বার হারিয়েছে সে জিম্বাবুয়ে।