সিলেট থেকে: সাড়ে তিন বছর পর পেলেন পাঁচ উইকেট। শেষপর্যন্ত ছয় শিকার। সিলেট টেস্টের সকালটা ছিল তাইজুল ইসলামেরই। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে শেষ পেরেকটি ঠুকে সতীর্থদের মধ্যমণি হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। মুখে ছিল চওড়া হাসি। তিনশর আগেই জিম্বাবুয়েকে থামিয়ে দেয়া সেই তাইজুল দিনের শেষে বিষণ্ণ!
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এ বাঁহাতি স্পিনারের খুশির দিনে ভর করেছে বড় এক দুশ্চিন্তা, ম্যাচ বাঁচানো যাবে তো! দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ১৪০ রানে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে, হাতে ১০ উইকেট অক্ষত। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ১৪৩ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেকের মঞ্চে কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ সেটি না বললেও চলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। সেখানে দুই টেস্টের সিরিজে চার ইনিংসেই অলআউট হয়েছে দুইশর আগে। এই নিয়ে টানা সাত ইনিংসে দুইশ পার করতে পারল না বাংলাদেশ!
উইন্ডিজ সিরিজের ভরাডুবির প্রভাব এখনও আছে দলের মাঝে? সে কারণেই আত্মবিশ্বাস তলানিতে? জবাবে তাইজুল বলেন, ‘না, এমন কিছু না। আমাদের ব্যাটসম্যান-বোলারদের কথা যদি বলেন, এখানে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টের ব্যর্থতার আগেও আমরা বড় বড় দলকে হারিয়েছি। আর দুই-একটা সিরিজ এমন হতেই পারে। এখনও আরও অনেক সময় আছে এই ম্যাচে। ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে এমন তো নয়।’
‘আসলে ক্রিকেটে কখনো ভালো হবে কখনো খারাপ, এমন সময় কিন্তু আসে। সকালে হয়তো আমাদের সময়টা ভালো কেটেছে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর থেকে দুই সেশন আমাদের পক্ষে আসেনি। আমাদের হাতে আরও তিন দিন সময় আছে। চেষ্টা করব ওদের দ্রুত অলআউট করার।’ যোগ করেন তাইজুল।
৬ উইকেট শিকারের দিনে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা আড়াল করেই বাংলাদেশ দলের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে যান তাইজুল। দলের বিপদে নিজের কীর্তি কিছুটা ম্লান তো হয়েছেই। সেটিও আড়ালেই রাখছেন।
‘অনুভূতিটা ভালোই। আসলে পাঁচ-ছয় উইকেট সবসময় আসে না। অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু আমি আসলে দলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাইব, দল ভালো করলে ভালো লাগবে।’