রানই পাচ্ছিলেন না, ছক্কা-ঝড় তোলা তো দূরের কথা। এরমধ্যেই আইপিএলে বিক্রি হলেন রেকর্ড দামে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে হা-হুতাশ, গত আসরের মতো এবারও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটাতে ডাব্বা মারবেন কিনা! শেষ খবর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ জয়ের দিনে ম্যাক্সি জ্বলে উঠেছেন স্বরূপে।
ক্রাইস্টচার্চ ও ডানেডিনে দুই জয় তুলে ওয়েলিংটনে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। বুধবার জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত। এমন ম্যাচে ৬৪ রানের জয়ে অজিরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ওয়েলিংটনে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ১৭.১ ওভারে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
ম্যাথু ওয়েডকে (৫) দ্রুত হারিয়ে শুরু করেছিল সফরকারীরা। পরের উইকেটেই বড় জুটি। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও জস ফিলিপ্পে মিলে যোগ করেন ৮৩ রান। ৩ চার ও এক ছয়ে ২৭ বলে ৪৩ রানের ঝড় দিয়ে থামেন ফিলিপ্পে।
ফিঞ্চের পরের সঙ্গী ম্যাক্সওয়েল। এই জুটিতে এসেছে ৬৪ রান। সেটিও মাত্র ৩১ বলে। অধিনায়ক ফিরলে ভাঙে এবারের জুটি। ৮ চার ২ ছয়ে ৪৪ বলে ৬৯ করে থামেন ফিঞ্চ।
বাকি সময়টুকু কেবল ম্যাক্সওয়েল প্রদর্শনী। শুরুতে ভীষণ ধীর, শেষে বিস্ফোরক। ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৩১ বলের তাণ্ডব, নামের পাশে ৭০ রান। স্ট্রাইকরেট ২২৫.৮১!
জবাব দিতে নেমে গত ম্যাচের নায়ক মার্টিন গাপটিল ২ চার ও ৩ ছয়ে ২৮ বলে ৪৩, ডেভন কনওয়ে ৫ চার ও এক ছয়ে ২৭ বলে ৩৮ ছাড়া বলার মতো অবদান রাখতে পারেননি কোনো কিউই।
টিম সেইফার্ট ৪, কেন উইলিয়ামসন ৯, গ্লেন ফিলিপস ১৩, জেমস নিশাম গোল্লা, মার্ক চ্যাপম্যান ১৮, টিম সাউদি ৫ রানে ফিরেছেন।
ম্যাচসেরা অ্যাস্টন অ্যাগার অজিদের আরেক নায়ক। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। তার ক্যারিয়ার সেরা। আগের সেরাটি ছিল ২৪ রানে ৫ উইকেট।
বাকিদের মধ্যে রিলে মেরেডিথ ২টি, অ্যাডাম জাম্পা ও কেন রিচার্ডসন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সিরিজের বাকি দুটি টি-টুয়েন্টিও ওয়েলিংটনে, ৫ ও ৭ মার্চ।