চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মৌসুমীর নির্বাচনী ইস্তেহার

‘প্রতিপক্ষ পরাজিত হবে, এই আশঙ্কায় নির্বাচনের দিন তারা বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে পারে।’-এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদ প্রার্থী ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তাই তিনি নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের সজাগ থাকার অনুরোধ করেন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে রীতিমত সরগরম ঢাকাই চলচ্চিত্র অঙ্গন। শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করার বিভিন্ন অঙ্গীকার দিচ্ছেন নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) মিশা-জায়েদ পরিষদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেও শিল্পী সমিতির ভোটারদের কাছে বিভিন্ন অঙ্গীকার করেছেন সেই প্যানেলের নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজার রোডের অর্কিড পয়েন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মৌসুমী। সেখানে তিনি তার নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করেন।


সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মৌসুমীর নির্বাচনী ইস্তেহারে উঠে আসে ৮টি পয়েন্ট। যা হুবুহু তুলে ধরা হলো:
১. শিল্পীকে তার আত্মসম্মানের জায়গায় দেখতে চাই।

২. শিল্পী সমিতির অফিশিয়াল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা, যাতে শিল্পী সমিতির সকল কার্যক্রমএবং সম্মানিত সদস্যদের ডাটাবেজ ওয়ান ক্লিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

৩. শিল্পী সমিতির নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হবে।

৪. শিল্পী সমিতি থেকে ওয়েব সিরিজ তৈরী করা হবে। তা থেকে লাভের সম্পূর্ণ অংশ শিল্পী সমিতির তাহবিলে প্রদান করা হবে এবং এই ওয়েব সিরিজে শিল্পীরা পর্যায়ক্রমে অনেকেই অভিনয় করবেন।

৫. চলচ্চিত্রের বর্তমান দূরাবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় এবং প্রযোজক-পরিচালক সমিতির যে সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ করছেন তাদের সাথে একাত্ততা পোষণ করে কাজ করবো।

৬. শিল্পীদের সহযোগিতায় এবং সমন্নয়ের প্রতিবছর একটি করে এক্সিভিশন আয়োজন করা হবে। এখানে তারকাদের স্বাক্ষর, ছবি ও সুভিনিয়র বিক্রি করা হবে। এ থেকে আয় জমা হবে শিল্পী সমিতির ফান্ডে।

৭. বয়স্ক ভাতা চালু করবো। বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত দাতাদের নিকট হতে ফান্ড কালেক্ট করে আলাদা একটি একাউন্ট করে বয়স্ক ভাতা পরিচালনা করা হবে।

৮. স্বল্প আয়ের শিল্পীদের কর্ম সংস্থান তৈরীর লক্ষে হস্ত শিল্প বা কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হবে। যে সকল শিল্পীদের হাতে কাজ কম, তারা ডেইলি ভিত্তিতে এখানে কাজ করবে। এখান থেকে আয়কৃত টাকা শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা দিয়ে শিল্পীদের কলাণেই ব্যয় করা হবে।