এবার রাজধানীর মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী দুই প্রতিষ্ঠান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, নগদ টাকা ও মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে এই দুই ক্লাবসহ আশেপাশের এলাকার আরো কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অভিযানে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের ভেতর থেকে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, নগদ টাকা ও মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এ অভিযানে আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও ক্যাসিনোর সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে ভেতরের থাকা লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
মতিঝিল বিভাগের এডিসি শিবলী নোমান জানান, আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবে ক্যাসিনোর সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে খবর পেয়ে লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
মতিঝিলের চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে ক্লাবগুলো থেকে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম উদ্ধারসহ নগদ টাকা, মাদক জব্দ করা হয়েছে।
চারটি ক্লাবে অভিযান শেষে মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর আমরা আভিযান শুরু করেছি। এই চারটি ক্লাবে অভিযানের সময় আমরা নগদ টাকা, ডলার এবং ক্যাসিনোসহ জুয়ার যাবতীয় সরঞ্জাম জব্দ করেছি। এখন আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করবো, কারা এর সঙ্গে জড়িত, কারা এর পৃষ্ঠপোষকাতা করে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। জড়িত যেই হোক না কেনো কাউকে আমরা ছাড় দেবো না।
আগে থেকে সবাই পালিয়ে যাওয়ায় অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এইসব ক্লাবের একটি অংশ জুয়া খেলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল তাই ক্লাব চারটি সিলগালা করা হয়েছে।’
মতিঝিল থানার পাশে চারটি জুয়ার ক্যাসিনো চললেও পুশিল এতদিন জানতো না কেনো সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে থেকে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না, আজ গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরই আমরা অভিযানে নেমেছি।’