রোহিত শর্মা-লোকেশ রাহুল ফিরলেও চাপটা ছিল শুরুর মতোই। চিন্তার কারণ ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ। তখন উইকেটে আবার খুঁটি গেড়ে বসে গেছেন বিরাট কোহলি। দুশ্চিন্তার সময়ে ৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দিলেন মাশরাফী। অধিনায়কের মন দারুণভাবে রক্ষা করেন ‘ফিজ’! জোড়া উইকেট মেডেনের ম্যাজিক্যাল ওভার করে।
মোস্তাফিজের করা ওভারটির প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি কোহলি। দ্বিতীয় বল খানিকটা শর্ট হওয়ায় মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে ফেলতে চাইলেন ভারত অধিনায়ক। তাতেই গেলেন আটকে। প্রায় মাথার উপর উড়তে থাকা বলটাকে থামিয়ে দিলেন রুবেল হোসেন। ২৬ রানে কাঁটা পড়ে যান কোহলি।
কোহলি ফেরার পর উইকেটে মারকুটে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার আগমন। এসে মোস্তাফিজের প্রথম বলটা দেখেশুনে খেললেন। মনে হল ব্যাটে সমস্যা। ব্যাটটা তাই পরিবর্তন করলেন। করেই পড়লেন বিপদে।
নতুন ব্যাটসম্যান আসায় অফ-কাটারের ফাঁদ পেতেছিলেন মোস্তাফিজ। তাতে পা দিয়ে বসলেন পান্ডিয়া। নতুন ব্যাটে স্লিপে দিয়ে বসলেন ক্যাচ। ওঁতপেতে থাকা সৌম্য ভুল করেননি প্রথম স্লিপে। নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচ লুফে নিয়ে শূন্যরানে সাঝঘরের পথ দেখান অলরাউন্ডার পান্ডিয়াকে।
রানে ভরা ম্যাচে এই একটিই মেডেন দেখেছে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। সেটাও মোস্তাফিজের কল্যাণে। ৩৯তম ওভারে দুই উইকেটের সঙ্গে মেডেন নিয়েছেন ফিজ। ওভারের শেষ দুই বলে যে আর রানই নিতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি।
এরপরও অবশ্য বড় রানের পথে ছুটছে ভারত। উইকেটে ঝড় তুলে গেছেন রিশভ পান্ট। আছেন সাবেক অধিনায়ক ধোনি। সঙ্গী দিনেশ কার্তিক। আগে এক বিশ্বকাপে রেকর্ড চতুর্থ সেঞ্চুরিতে পথটা দেখিয়ে গেছেন রোহিত শর্মা। ৯২ বলে ১০৪ করেছেন ভারতীয় ওপেনার। আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল আউট হয়েছেন ৭৭ করে।