পিএসএলে যেয়ে দারুণ ছন্দে বোলিং করা অব্যাহত রেখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। খেলে ফেলা তিন ম্যাচেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। সোমবার লাহোরের হয়ে করাচির বিপক্ষে আঁটসাঁট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়েছেন একটি উইকেটও।
দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করে করাচি কিংস রবি বোপারার অপরাজিত ফিফটিতে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ২২ রানে একটি উইকেট নেন। দারুণ বোলিং করেন ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট নেয়া নারিনও। ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ইয়াসির শাহও বেশ সঙ্গ দিয়েছেন।
মোস্তাফিজ এদিন বল হাতে পান পঞ্চম ওভারে। প্রথম বলেই রানের খাতা খুলতে না পারা বাবর আজমকে সাজঘরে পাঠান মিডলস্টাম্পে ফেলে লেট মুভমেন্ট আদায় করা এক ডেলিভারিতে। ওভারের বাকি পাঁচ বলে কলিন ইনগ্রাম রানের জন্য হাঁসফাস করে একটি সিঙ্গেলও বের করতে পারেননি। ফিজের উইকেট-মেডেন সাফল্য।
পরে সপ্তম ওভারে এসে ৭ রান দেন ফিজ। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল, পঞ্চম বলে এক চার, শেষ বলে দুই রান নিয়ে ওভার কাটিয়ে দেন বোপারা। টতুর্থ বলে লেগবাই থেকে আসে এক রান।
অধিনায়কের আবারও ফিজের কথা মনে পড়ে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে। প্রথম বলেই এক রান নেন বোপারা। তৃতীয় বলে ইমাদ ওয়াসিম নেন দুই রান। পঞ্চম বলে চার হাঁকান এই পাকিস্তানি। ষষ্ঠ বলটি ওয়াইড করার পর অতিরিক্ত করতে হওয়া বলটিতে আসে এক রান। ৯ রানের ওভার।
১৮তম ওভারে এসেও দারুণ প্রদর্শনী জারি রাখেন কাটার মাস্টার। দেন ছয় রান। যার দুটি রান আসে ওয়াইড থেকে, ষষ্ঠ বলে যেয়ে পরপর দুটি ওয়াইড করেন। বাকি চার রান আসে সিঙ্গেলে। প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যাটসম্যানকে বড় শট খেলতে দেননি টাইগার তারকা।
পিএসএলে অভিষেকেই দুর্দান্ত বল করেছিলেন মোস্তাফিজ। টাইগারদের তারকা পেসার দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে দল হারার দিনে ২ ওভার বল করার ডাক পেয়েছিলেন, তাতে ১০ রান দিয়ে নিজের ছন্দ ধরে রাখেন। ক্যাচ না পড়লে উইকেটও পেতে পারতেন। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে ২২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। মুলতানের ওই ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোরার শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা ও পাকিস্তানি ফখর জামানের উইকেট নিয়েছিলেন কাটার মাস্টার।
অবশ্য ম্যাচটা জিততে পারেনি লাহোর। করাচি জেতে ২৭ রানে। অধিনায়ক ম্যাককালামের ৪৪ ছাড়া আর কারও বলার মত রান নেই তাড়া করতে নেমে। ফিজ ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি।
করাচির উসমান খান ও শহিদ আফ্রিদি ৩টি করে উইকেট নিয়ে জয়ে অবদান রেখেছেন। ২টি উইকেট গেছে মিলসের দখলে। করাচির এটি টানা তৃতীয় জয়, আর লাহোরের টানা তিন হার।