সিলেট থেকে: বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দেশের দুই বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা আর মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে চলছে অন্যরকম এক লড়াই। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির ম্যাজিকাল চেয়ারে বসার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত যে-ই বসুক; এই মুহূর্তে আসনটি রানার। শনিবার খুলনা টাইগার্সের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই পেসার টপকে গেছেন মোস্তাফিজকে।
এই দুই তরুণই বিপিএলের শুরু থেকেই করে যাচ্ছেন দারুণ বোলিং। ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সের মোস্তাফিজ শুক্রবার সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে যান তার প্রিয়বন্ধু রানাকে। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ৩ উইকেট নিয়ে আবারও মোস্তাফিজকে পেছনে ফেললেন রানা।
মোস্তাফিজের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে ৮ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছেন রানা। আর ১০ ম্যাচে মোস্তাফিজের উইকেট ১৬টি।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির ম্যাজিকাল চেয়ারে বসতে মধুর এই প্রতিযোগিতা বেশ উপভোগ করছেন রানা। তবে ম্যাচ খেলার সময় তার মাথায় থাকছে শুধুই দলের চাওয়া পূরণের বিষয়টি।
তিনি বললেন, ‘আসলে আমি উইকেট গুনছি না। একেকটা ম্যাচ ধরে কীভাবে ভালো করা যায়; সেটাই শুধু ভাবি। বোলিংয়ের সময় কয়টা উইকেট হলো, তা আমি মাথায় আনি না। তবে ব্যাপারটা উপভোগ করছি।’
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ধারবাহিকভাবে উইকেট নিয়ে প্রশংসিত হচ্ছেন মেহেদী হাসান রানা। ২২ গজে এই বাঁহাতির এমন সাফল্য তৈরি করছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ। রানা নিজেও দেখছেন সেই ভবিষ্যত। এ জন্যই বললেন, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ যেহেতু উন্নতি করছি। ভালো বোলিং করছি। দেশের ক্রিকেটে ভালো ভবিষ্যত আছে বলে মনে করি।’