ঘরোয়া লিগে পরীক্ষিত সৈনিক তিনি। মোসাদ্দেক হোসেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও টেনে নিয়েছেন সেই পারফরম্যান্স। কয়েকসপ্তাহ আগে টাইগার জার্সিতে টেস্টে অভিষেক হয়েছে। তাতে দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন। রঙিন পোশাকে তো অনেকদিন ধরেই আলো ছড়াচ্ছেন। আবাহনীর জার্সিতে ফিরে সেই ধারাবাহিকতাটাই ধরে রাখলেন। বুধবার তার সেঞ্চুরিতে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে আবাহনীও।
খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিনে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তোলে খেলাঘর ক্রীড়া চক্র। জবাব দিতে নেমে ১৫ বল বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ে নোঙর ফেলে আবাহনী লিমিটেড। মোসাদ্দেক ৮৫ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন।
ফতুল্লায় টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন খেলাঘরের অধিনায়ক নাফিস ইকবাল। ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী সালাউদ্দীন পাপ্পু। পরে রবিউল ইসলামকে সঙ্গী করে হাল ধরেন অধিনায়ক নাফিস।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৫২ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন নাফিস। নামের পাশে ৪ ছয় এবং ৩ চারে ৬৮ বলে ৭৮ রান। তার জুটি সঙ্গী রবিউল করেছেন ৭৪ রান।
আবাহনীর পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪৫ রানে ৩টি ও কাজী অনীক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সাইফ হাসান। এরপর নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান আরেক উদ্বোধনী সাদমান ইসলাম (২৪)। নাজমুল ফিরেছেন ৪৫ রানে।
সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫৯) ও মোসাদ্দেকের প্রতিরোধ। দুজনে ১২৭ রানের জুটি গড়ে বিপদ আসতে দেননি। মোসাদ্দেকের ১১০ রানের ইনিংসটি ১২ চার ও ২ ছয়ে সাজানো। ম্যাচ সেরার খেতাবও এনে দিয়েছে ঝলমলে প্রদর্শনীটি।