ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর নেতৃত্বের ভার তার কাঁধে। সেটি সামলে ব্যাট হাতে দারুণ সফল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অফস্পিন করে উইকেটও পাচ্ছেন। ঘরোয়া লিগে পারফরম্যান্সই তাকে নিয়ে এসেছে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে।
মোসাদ্দেককে বিশ্বকাপ দলে রাখার পেছনে যুক্তি আছে আরও। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এ তরুণকে অলরাউন্ডারের ভূমিকাতেই দেখতে চান।
কাঁধে চোট থাকায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বোলিং করতে পারবেন কিনা সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাতেই বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে গেছেন মোসাদ্দেক। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাকে সামলাতে হবে বড় দায়িত্ব।
‘সৈকত ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে। আর আমরা একজন অলরাউন্ডার চাচ্ছিলাম, যে অফস্পিন করতে পারে। কারণ রিয়াদের কাঁধে ইনজুরি আছে। তাই সে বোলিং নাও করতে পারে। সেই কথা চিন্তা করে যেন ব্যাকআপ হিসেবে একজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার দরকার হয় তাই সৈকতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ মোসাদ্দেককে দলে রাখার ব্যাখ্যায় মিনহাজুল বললেন এমনই।
আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক লোয়ার মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং করে ১২ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে এ মৌসুমে করেছেন ৪২৮ রান। বল হাতে নেন ৬ উইকেট। বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে ২৪ ওয়ানডে খেলে করেছেন ৩৪১ রান। উইকেট নিয়েছেন ১১টি। বল হাতে খুব সফল না হলেও নতুন বল কিংবা স্লগে বোলিং করে রান চাপিয়ে রাখার কঠিন দায়িত্ব সামলেছেন অতীতে।