পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ এবং সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে যানজটে নাকাল যেখানে খোদ রাজধানীবাসী, সেখানে গাজীপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থায় ইন্টারনেট প্রোটোকল ক্যামরা সিস্টেম বা আইপি ক্যামেরা প্রযুক্তি দেখাচ্ছে নতুন আশার আলো। অফিসে বসেই আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে জেলা সংলগ্ন মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজর রাখছেন গাজীপুর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। এমনকি নিজেদের স্মার্ট মোবাইল দিয়েই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যান চলাচল ও সার্বিক গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন তারা।
প্রাথমিকভাবে টাঙ্গাইল পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ পরীক্ষামূলকভাবে আইপি ভিত্তিক ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থা শুরু করেন। তবে মহাসড়কে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গভাবে আইপি ভিত্তিক মনিটরিং শুরু করে গাজীপুর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে তদারক করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড অপারেশন টিম আইপি ক্যামেরাগুলোর কারিগরি দিক দেখাশোনা করে এবং তাদের ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে একটি বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান।
গাজীপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক বিভাগ) সাখাওয়াত হোসেন আইপি মনিটরিং ব্যবস্থা সম্পর্কে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার আসাদুজজ্জামান মিয়া হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি থাকাকালে কুমিল্লা মহাসড়কে সীমিত পরিসরে আইপি নজরদারি শুরু হয়।
তবে প্রথমবারের মতো ১৭ টি ক্যামেরা নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আইপি-মনিটরিং শুরু করে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগ। ব্যস্ত এলাকা গাজীপুরের টঙ্গি স্টেশন রোড, চন্দ্রা, গাজীপুর চৌরাস্তা এবং স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন পয়েন্টগুলোতে লাগানো ক্যামেরা দিয়ে কম লোকবল দিয়েও ট্রাফিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে কাজ শুরুর পর প্রায় এক বছর পার হতে না হতেই সংকটে পড়েছে সম্ভাবনার এই প্রকল্পটি। কতৃপক্ষের উদাসীনতা এবং প্রচুর ইন্টারনেট বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।