দেশের স্কুল- কলেজ, জেলখানা, ধর্মীয় উপাসনালয়, হাসপাতাল, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মোবাইল টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের মাত্রা নির্ণয় করে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন আগামী ৪ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া আমদানি করা মোবাইল ফোন সেটের রেডিয়েশন বিষয়ক এসএআর মান সম্বলিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে করা এক রিটের রুল যথাযথ করে বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে কয়েক দফা নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কাউন্সিলের (বিটিআরসি) প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী জিনাত হক।
এ রিটের শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন: ইন্টারন্যাশনাল কমিশন ফর নন আইওনাইজিং রেডিয়েশন প্রটেকশনের নির্ধারিত রেডিয়েশনের মাত্রা ৪.৫। কিন্তু আমাদের দেশের তাপমাত্র, ঘনবসতি ও শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনায় জনগনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে রেডিয়েশনের মাত্র ০.৪৫ মাত্রা করাটা সঠিক হবে।
এর আগে ২০১২ সালে মোবাইল ফোনের টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে একটি রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ এ রায় দিলেন। সেই সাথে আদালত রিটের বিষয়টি কন্টিনিউয়াস ম্যান্ডামাস হিসেবে রেখেছেন।