চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মোদির ‘প্রভাবে’ কাশ্মীর নিয়ে ‘নরম’ ট্রাম্প

কাশ্মীর ইস্যুতে একাধিকবার মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবারও সাংবাদিকদের কাছে এমন ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে কাশ্মীরের অবস্থান খুব জটিল। সেখানে হিন্দু, মুসলিম সবাই বসবাস করে। আমি বলব না, যে তারা এখন একসঙ্গে খুব ভালো আছে।’

তবে সোমবার ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের সুর পাল্টে গেছে।

তিনি আগের মধ্যস্থতার প্রস্তাব থেকে সরে এসে বলছেন, জন্মু-কাশ্মীর সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের নিজেদের। আশা করি সবার জন্য ভালো হয়, এমন কোনো সমাধানেই তারা আসবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চান; কাশ্মীরের আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমন ও সেখানকার মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে তিনি কি ভাবছেন?

জবাবে মোদি তখন বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আগেও ভারত ও পাকিস্তান এক ছিলো এবং তারা তাদের নিজস্ব সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনেক সমস্যা রয়েছে। এর জন্য আমরা কোনো তৃতীয় দেশকে ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমরা এই বিষয়গুলি নিজেরাই সমাধান করতে পারি।’

তিনি এসময় আরো যোগ করেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের দুই জাতির মানুষের কল্যাণে একসাথে কাজ করতে হবে। দুই দেশের সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলিও অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য এবং রোগ।’

মোদির সঙ্গে আলাপের পর ট্রাম্প বলেন, আমরা গতকাল রাতে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি সত্যিই অনুভব করছেন যে, জম্মু-কাশ্মীরে তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আমি মনে করি, এই বিষয়ে তিনি পাকিস্তানের সাথে কথা বলবেন এবং আমি নিশ্চিত যে, সবার জন্য মঙ্গল হয় এমন কিছু করতে সমর্থ হবেন।’

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রহিতের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের প্রায় ৭০ বছর ধরে পেয়ে আসা স্বায়ত্তশাসনসহ বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ফুঁসে উঠেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণ।

বলতে গেলে ওই দিনের আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং কাশ্মীরিদের সে অঞ্চলে ঢোকা-বের হওয়া বন্ধের পাশাপাশি সব ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। রাস্তায় নামানো হয় সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি।

তবে ৯ আগস্ট তা কিছুটা শিথিল করা হয়। লেহ ও জম্মু থেকে তুলে নেয়া হয় ১৪৪ ধারা। খুলে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

পরে ঈদ উপলক্ষে কারফিউ তুলে নেয়া হলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা বলে আবারও শুরু হয় কারফিউ। এখনো চলছে।