দ্রুত বিকশিত মোটরসাইকেল উৎপাদন শিল্পে সম্পূরক শুল্ক না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে।
রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এসআরও এর মাধ্যমে শিল্পবান্ধব শুল্ক কাঠামো নির্ধারণের ফলে বাংলাদেশে মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্পখাতে শতকরা ২০ ভাগ সম্পূরক শুল্ক থাকায় ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর প্রসার বেড়েছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানও বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুত অগ্রসরমান শিল্পখাত বিকশিত হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাপান সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদারে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
মোটরসাইকেলে শতকরা ৪৫ ভাগ সম্পূরক শুল্কারোপ করে গত ১ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের কথা তুলে ধরে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এর ফলে বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং মোটরসাইকেল শিল্প বিকাশ ব্যাহত হবে।
তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে মোটর সাইকেল উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পে শতকরা ২০ ভাগ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখা দরকার।
জাপানকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সম্পর্কের সূচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ এবং পদ্মা সেতুর প্রাক-সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়।
উৎপাদনমুখী মোটরসাইকেল শিল্পের প্রসারে সহায়ক শুল্ক কাঠামো নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।