চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধন আরও দৃঢ় করবে’

ভিডিও কনফারেন্সে ‘মৈত্রী’ ও ‘বন্ধন’ এক্সপ্রেসের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সুবিধা এবং ভৈরব ও তিতাস ব্রিজ যৌথভবে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এসময় ভিডিও কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনের শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের  সুন্দরতম দিন আজ। ঢাকা-কলকাতা- খুলনা-কলকাতা যাত্রীরা আজ থেকে সুন্দরভাবে চলাচাল করতে পারবে। দু’দেশের জনগণের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, শুধু ট্রেনের মাধ্যমে বন্ধন নয়, এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের আর্থসামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন আরও এগিয়ে যাবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতবাসীকে দুর্গা পূজা ও কালী পূজার শুভেচ্ছা জানান এবং মমতা ব্যানার্জিকে ইলিশ খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হলো বলে মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়লে, দুইদেশের মধ্যে উন্নতি ও সমৃদ্ধি আকাশচুম্বি উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদির।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, যাত্রী সুবিধার জন্য এটি একটি বড় পাওনা, ‘বন্ধন এক্সপ্রেসের’ মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের বন্ধন আরও মজবুত হলো। আজকে এপার বাংলা ও অপার বাংলার জন্য একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় দিন। দু’ দেশের সংস্কৃতি, ঐক্য ও ভাষার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। মমতা এসময় শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান।

দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার সম্প্রসারণে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী ট্রেনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ছাড়া ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে এখন সপ্তাহে ৬ দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। এটি এখন সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। অপেক্ষাকৃত কম ভাড়া ও আরামদায়ক ভ্রমণ হওয়ায় এখন ঢাকা-কলকাতা ভ্রমণের ক্ষেত্রে মৈত্রী এক্সপ্রেস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফলে এখন আর ট্রেনের আসন তেমন খালি থাকে না। প্রতিদিন উভয় দিক থেকে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী এই ট্রেনে যাতায়াত করে।