চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির অভিযোগ করেন, কর্মকর্তাদের ৫ শতাংশ হারে ঘুষ দিলে তিনি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা সরকারের কাছ থেকে থোক বরাদ্দ পেতেন। ঘুষ না দেওয়ায় তাকে মাত্র ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প পাসের জন্য যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা তার কাছে একটি পাজেরো জিপ ঘুষ হিসেবে দাবি করেছিলেন।
গত ১০ আগস্ট বুধবার চট্রগ্রামের এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এরপর থেকেই তার বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা সমালোচনা। তার বক্তব্যের সূত্র ধরেই এবার ফেসবুকে পোস্ট দিলেন লেখক আইনজীবী এবং জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেওয়ান মিনহাজ গাজী।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আমাদের আমলারা খুবই ঐক্যবদ্ধ। কর্মক্ষেত্রে তারা যতটা না দক্ষ- তার চেয়ে বেশি দক্ষ নিজেদের স্বার্থের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে ছোট আমলা বড় আমলা ভেদাভেদ নেই। সংবিধানে যা-ই লিখা থাকুক, উনারা সব সময় জনগণের প্রভু হতে অভ্যস্থ। রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী হিসাবে পয়লা কাতারে থাকা একটা বিশেষ শ্রেণী তারা। গরিব দেশটায় যত দুর্যোগই আসুক না কেন, উনাদের সুবিধা প্রাপ্তিতে কোনো ভাটা পরে না। বাড়ি গাড়ি চাপরাশি বিদেশভ্রমণ- সবকিছু থাকে বহাল তবিয়তে। ভবিষ্যৎ জীবন যাতে মসৃণ থাকে- সেই ব্যবস্থাও পাকাপোক্ত! যে বিলাসী জীবন তারা যাপন করেন- তা বিস্ময়কর।
এরপর দেওয়ান মিনহাজ গাজী আরো লিখেন, উনারা অপকর্ম করেন, দুর্নীতি করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন- এ কথা কেউ বলতে পারবে না! বললেই বর্তমান আমলা সাবেক আমলা সবাই একজোট হয়ে যান। সব কিছুর দায়ভোগ করতে হয়- রাজনীতিবিদদের। জেল শাস্তি মামলা নিন্দা- এগুলো রাজনীতিবিদদের জন্য নির্ধারিত।
চট্রগ্রামের মেয়র নাছির সাহেব আঙ্গুলটা তাক করেছিলেন মাত্র- সাথে সাথে তিনারা জোট বেঁধে ফেলেছেন। কী অদ্ভুত ঐক্য! একজন জনপ্রতিনিধির ( প্রতিমন্ত্রী) প্রকাশ্য অভিযোগের পরও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ন্যূনতম ব্যবস্থা না নিয়েই, উল্টো অভিযোগ কারিকেই অপদস্থের প্রয়াস নেয়া হচ্ছে! হয়তো মেয়র নাছিরকে মাথা নত করতেই হবে, আমি নিশ্চিত, আখেরে তিনি তার দল ও সরকারেরও আশীর্বাদ হারাবেন। কারণ, মেয়রের চেয়ে নির্ঘাত আমলা বড়। মনোযোগটা রাখুন।
সবশেষে তিনি লিখেন, মেয়র নাছির, যে চিন্তার, যে আদর্শের, যে দলেরই হোন না কেন- তার পাশে দাঁড়ান, তার পাশে দাঁড়ানো মানে আরও অনেককে সত্য উচ্চারণে সাহসী করা!