মেহেরপুর জেলায় ফল ও বনজ বাগানের পতিত জমিতে শুরু হয়েছে নেপিয়ার ঘাসের আবাদ। পশুর খাবার হিসেবে বাজারে নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা থাকায় কৃষক দাম পাচ্ছেন ভালো।
আগে মেহেরপুরের জেলায় আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফল ও বনজ বাগানগুলোর জমি মৌসুম শেষে পতিত পড়ে থাকতো। কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাগানের পতিত অনুর্বর জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ শুরু করেন কৃষক। পশুর খাদ্য হিসেবে বাজারে এ ঘাসের চাহিদা থাকায় আর্থিকভাবে লাভবান তারা।
কৃষকরা জানান, ফলের বাগানে যে পানির প্রয়োজন পড়ে তা মেটায় ঘাস। তাই পানির জন্য বাড়তি খরচের প্রয়োজন পড়ে না। আবার ঘাসের আবাদ করে বাড়তি ২০-৩০ হাজার টাকা আয়ও হচ্ছে।
বছরে একবার ঘাস লাগিয়ে ছয় থেকে সাত বার কেটে বিক্রি করছেন কৃষক। বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে তাদের ঘরে আসছে ২৫-৩০ হাজার টাকা।
চাষের নিবিড়তা বাড়ানোর পাশাপাশি ঘাসের আবাদ সম্প্রসারিত করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
মেহেরপুর সদর উপ-জেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, কৃষক এই ঘাসের চাষ করে এদিক থেকে যেমন হচ্ছে লাভবান ঠিক তেমনই জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে রাখছে ভূমিকা।