স্প্যানিশ লিগে গোল উৎসবের রাত কাটল বার্সেলোনার। স্পোর্টিং গিজনকে ৬-১ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে গোল পেয়েছেন ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর সকলেই। গিজনকে প্রথম পর্বে ৫-০ গোলে হারিয়েছিলেন মেসি-নেইমাররা।
ন্যু ক্যাম্পে বুধবার রাতে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ গোল পেয়েছেন। গোল এসেছে ফ্রান্সিস্কো আলকাসের ও ইভান রাকিটিচের থেকে। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। হাভিয়ের মাশ্চেরানোর বাড়ানো বলে মাথা ছুঁইয়ে জাল খুঁজে নেন মেসি। ১১ মিনিটে হুয়ান রদ্রিগেজের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। গোলটিতে অবশ্য অবদান ছিল নেইমার-সুয়ারেজের। নেইমারের ক্রসে সুয়ারেজের শট রদ্রিগেজের গায়ে লেগে বাঁক বদলে অতিথিদের জালে ঢুকে যায়।
ম্যাচের ২১ মিনিটে বার্সেলোনার জালে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় গিজন। জাভি তোরেসের ক্রসে আলভারেসের শট প্রথমে পোস্ট দুর্ভাগ্যে পড়ে, ফিরতি বলে জাল খুঁজে নেন ফরোয়ার্ড কার্লোস ক্যাস্ত্রো।
গোল ব্যবধান কমিয়ে উজ্জীবিত হয় ওঠেন গিজনের খেলোয়াড়রা। কিন্তু বার্সার গোল উৎসবে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দর্শনীয় ভলিতে আরেকদফা ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেজ।
মধ্যবিরতির পর আগের জায়গা থেকেই শুরু করে বার্সা। ৪৯ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সুয়ারেজের বদলি ফ্রান্সিস্কো আলকাসের। গোলের যোগানদাতার নাম মেসি। এরপর আর্জেন্টাইন অধিনায়কের দুর্দান্ত একটি ফ্রি-কিক ক্রসবার দুর্ভাগ্যে কাটা পড়ে।
ম্যাচের ৬৫ মিনিটে আসে নেইমারের পালা। অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে ব্যবধান ৫-১ করের ব্রাজিল তারকা। ৮৭ মিনিটে সেখানে অতিথিদের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন রাকিটিচ।
এই জয়ে টেবিলের শীর্ষে ফিরেছে বার্সেলোনা। ২৫ ম্যাচে লুইস এনরিকের দলের পয়েন্ট ৫৭। অন্যদিকে একই রাতে লাস পালমাসের বিপক্ষে ড্র করে ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ থাকছে দুইয়ে।