কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্ট শেষ, গড়িয়ে গেছে কয়েকদিন, তবে উত্তাপ কমছে না। তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সময়টাতে এবার মুখ খুললেন সেই ম্যাচের রেফারি রোডি জামব্রানোও। মেসির মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন ইকুয়েডরের এ রেফারি।
সেমিতে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল। পরে জেতে শিরোপাও। ওই ম্যাচে দুটি পেনাল্টি পেতে পারতো আর্জেন্টিনা! মেসির দাবি এমনই। তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনার ওই দুটি আবেদনেই রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নেননি।
প্রথম ঘটনায় আর্জেন্টিনার ম্যানসিটি তারকা সার্জিও আগুয়েরোকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন দানি আলভেজ। দ্বিতীয় ঘটনায় নিকোলাস ওটামেন্ডিকে বক্সের ভেতর কনুই দিয়ে গুঁতো দেনে আর্থার।
দুই ঘটনার কোনটিতেই আর্জেন্টিনার পক্ষে রায় দেননি রেফারি। এমনকি স্পর্শকাতর এরিয়ার ঘটনায় সিদ্ধান্ত দিতে নেননি প্রযুক্তির সহায়তাও। ম্যাচের রেফারি অবশ্য এখন বলছেন, প্রথম ঘটনাটি ছিল সাধারণ ফাউল, আর দ্বিতীয়টি ছিল বৈধ চ্যালেঞ্জ।
নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে রেফারি জামব্রানো বলেছেন, ‘এটি কনুই দিয়ে গুঁতো মারার মতো ঘটনা ছিল না। ভিএআর যাচাই করা হয়েছে এবং এটি নিশ্চিত যে এটি ছিল ৫০-৫০। তাই তারা এটিকে পরিষ্কার পেনাল্টি মনে করেনি।’
‘প্রথম ঘটনায় এটি পরিষ্কার যে আগুয়েরো এগিয়ে গেছে। এটি ছিল ‘ডিফেন্ডারের’ ওপর বেপরোয়া ফাউল। ভিএআরের সঙ্গে আমি কখনোই যোগাযোগ হারাইনি। এটি পুরোপুরি মিথ্যা।’
মেসির সমালোচনা অবাক করেছে জানিয়ে ইকুয়েডরের এ রেফারি বলেছেন, ‘মেসি খেলার প্রতি নিবেদিত। তার সঙ্গে আমার কখনোই সমস্যা ছিল না। সত্যি তো এটাই যে, ম্যাচ শেষে তার বিবৃতি আমাকে বিস্মিত করেছে। তবে সবারই নিজস্ব মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। যখন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা বলছিল আমি নার্ভাস ছিলাম, তার মানে এটা বোঝাতে চেয়েছে যে আমি বিরক্ত ছিলাম। কেননা, রেফারিংয়ের সময় আমি সবসময় সিরিয়াস থাকি।’
সেমিফাইনালের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের রেফারিং নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন মেসি। চিলির বিপক্ষে ম্যাচটিতে তাকে বিতর্কিত লাল কার্ড দেয়া হয়। সেই ঘটনায় রেফারির সমালোচনা করার পাশাপাশি লাতিন আমেরিকান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবলেরও তীব্র সমালোচনা করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ওই ঘটনায় মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন বলে জানাচ্ছে ফুটবলের খবরদাতা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।