চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মেসি বলছেন, রোনালদো হতে পারবেন না হ্যাজার্ড

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অভাবটা দেড় মৌসুম ধরে বেশ টের পাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। পর্তুগিজ মহাতারকার অভাব সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় এল ক্ল্যাসিকো এলে। নয় মৌসুমে লিওনেল মেসির সঙ্গে তার যে দ্বৈরথে বুদ থাকতো ফুটবলবিশ্ব, সেটির অবস্থা এখন শূন্য চরের মতো। রোনালদোকে সবচেয়ে বেশি অনুভব করেন বোধহয় মেসি নিজেই! আরেকটি ক্ল্যাসিকোর আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে বার্সা অধিনায়ক বলেছেন, যাকেই আনা হোক না কেনো কেউই পূরণ করতে পারবেন না তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব।

রোনালদোর অভাব যে অপূরণীয় সেটা ভালোভাবেই জানে রিয়াল। গতবার সেই অভাবটা পূরণ করতে না পারলেও চলতি মৌসুমের আগেভাগে বড় আশা করে চেলসি থেকে আনা হয়েছে এডেন হ্যাজার্ডকে। মাদ্রিদে এসে অবশ্য তেমন চোখ জুড়ানো পারফর্ম করতে পারেননি বেলজিয়ান তারকা।

এরপরও লস ব্লাঙ্কোস ভক্তদের দেখার অপেক্ষা ছিল এল ক্ল্যাসিকোতে বার্সার বিপক্ষে কেমন খেলেন হ্যাজার্ড। সেটা আপাতত দেখা হচ্ছে না তাদের। কারণ, চোটে পড়ে এবছর আর মাঠেই নামা হচ্ছে না বেলজিয়ান উইঙ্গারের।

হ্যাজার্ড মাঠে থাকা বা না থাকা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন মেসি। বেলজিয়ান তারকার প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকলেও রোনালদোর জায়গা নেয়াটা এত সহজ নয় বলেই মত তার, ‘হ্যাজার্ড একজন মানসম্পন্ন ফুটবলার। সে এমনই ব্যতিক্রমধর্মী ফুটবলার যে, যার মাঝে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে টালমাটাল করে দেয়ার সমস্ত যোগ্যতাই আছে।’

‘আমি মনে করি হ্যাজার্ড রোনালদো থেকে আলাদা ঘরানার ফুটবলার। তার বৈশিষ্ট্যও আলাদা। ক্রিস্টিয়ানোর বিকল্প বের করা খুব কঠিন। তবে হ্যাজার্ড দারুণ ফুটবলার।’

তারকা খেলোয়াড়ের অভাবে চলতি মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোতে জৌলুসহীন রিয়াল মাদ্রিদ স্কোয়াড। নইলে এমনিতে উত্তেজনার সবরকম পারদ ছড়ানো আছে এবারের ক্ল্যাসিকোতে। অনেক মৌসুম বাদে আবারও সমান সমান পয়েন্ট নিয়ে ন্যু ক্যাম্পে বুধবার বার্সার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রিয়াল। গোলব্যবধানে এগিয়ে থাকা কাতালান ক্লাবটির সামনে সুযোগ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।

একেতো নিজেদের মাঠ, তার উপর রিয়ালের অবস্থাও কাহিল, সহজ জয়ের স্বপ্নই দেখতে পারে বার্সা। মেসি যদিও দিলেন চমকপ্রদ তথ্য। বার্সা অধিনায়কের মতে ন্যু ক্যাম্পে নয়, বরং রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই খেলা তাদের জন্য সহজ। সবশেষে তিন এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়ালের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরায় সেই বক্তব্যকে যেন সত্যি প্রমাণিত করছে। গত মৌসুমে রিয়ালের মাঠে ৫-২ গোলের জয়ও আছে বার্সার।

‘যখন আমরা বার্নাব্যুতে খেলি তখন অনেক জায়গা বের হয়ে আসে। তারা নিজ দর্শকের সামনে আমাদের আক্রমণ করে খেলতে চায়। কারণ তারা স্বাগতিক আর দর্শকরাও চায় তারা আক্রমণ করে খেলুক।’

‘আবার ন্যু ক্যাম্পে তারা অন্যভাবে খেলে। সবাই একসঙ্গে কোণঠাসা হয়ে খেলে যাতে আক্রমণ করা না যায়। আর বল পেলে দারুণ গতিতে কাউন্টার অ্যাটাকে উপরে উঠে যায়। কারণ উপরিভাগে তাদের দারুণ কয়েকজন গতিমান ফুটবলার আছে।’