নতুন আশার বাতি জ্বালিয়ে পিএসজির কোচ হয়েছেন আর্জেন্টাইন মাউরিসিও পচেত্তিনো। টটেনহ্যামের সাবেক কোচকে প্যারিসে আনার পর ক্লাবের কাতারি মালিকরাও নব আশায় বুক বেধেছেন, আর্জেন্টাইন হিসেবে পচেত্তিনো হয়তো পারবেন বার্সেলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে দলে এনে স্বপ্ন পূরণ করতে।
মূলত মেসির বিষয়টি মাথায় রেখেই পচেত্তিনো কোচ হয়ে এসেছেন পার্ক ডি প্রিন্সেসে। ফরাসি গণমাধ্যম ক্যানাল প্লাস বলছে- কেবল মেসিই নন, পচেত্তিনোর খেয়ালে আছেন আরেক আর্জেন্টাইন সার্জিও আগুয়েরোও।
আগামী জুনে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরাচ্ছে ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আগুয়েরোর। অন্য ক্লাব হানা দেয়ার আগেই তার সঙ্গে দলবদলের আলাপ আলোচনা সারতে চান পিএসজি কোচ। মাউরো ইকার্দি ও মইজে কিনের সঙ্গে তার পরিকল্পনায় আগুয়েরো দারুণভাবে মানিয়ে যাবেন বলে বিশ্বাস পচেত্তিনোর।
চাইলেই তো আর সবকিছু সম্ভব নয়। এমনিতে পিএসজির মাথায় ঝুলে আছে উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে ভাঙার অভিযোগ। কিছুদিন আগে পিএসজির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, করোনার কারণে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্লাবটি।
এদিকে, লিগ ওয়ান কর্তৃপক্ষও ক্লাবগুলোকে চাপ দিচ্ছে খেলোয়াড়দের বেতন কাটছাঁট করার। উচ্চ বেতনে মেসি আর আগুয়েরো দলে আসলে তা পরিষ্কার আইনের লঙ্ঘন হবে। সেটি এড়াতে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি বেছে নিতে চাচ্ছে পিএসজি, ক্লাবের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া দুই খেলোয়াড়, নেইমার ও কাইলিয়ান এমবাপের একজনকে বিক্রি করতে; পারলে দুজনকেই ছেড়ে দিতে।
কোপটা পড়ার বেশি সম্ভাবনা এমবাপের দিকেই। কিছুদিন আগে নেইমার জানিয়েছেন, বার্সার সাবেক সতীর্থ ও প্রিয় বন্ধু মেসির সঙ্গে আবারও খেলতে চান। ব্রাজিলিয়ান তারকার আবদার মেনে নিজেদের দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে পিএসজি। ২২ বছর বয়সী এমবাপে নিজেও প্যারিস ছাড়তে আগ্রহী। সবদিক বিবেচনায় ফরাসি স্ট্রাইকারকে ছেড়ে দেয়ার পক্ষে ক্লাবের কাতারি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাফি।
পিএসজির পরিকল্পনায় আছেন সার্জিও রামোসও। রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি ফুরাচ্ছে তারও। এরপর ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। এমবাপেকে চুক্তির হাতিয়ার বানিয়ে রিয়াল থেকে রামোসকে চাইতে পারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।