লিওনেল মেসির সঙ্গে ছয় বছরের বন্ধুত্ব লুইস সুয়ারেজের। সেই বন্ধুত্ব মোটেও ভালো চোখে দেখতো না বার্সেলোনা, ইএসপিএনকে এমনটাই বলেছেন উরুগুয়েন তারকা। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের মনোবল কমাতেই বার্সা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন ইঙ্গিত ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।
দলের উচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়দের তাড়াতে হবে- এমন নীতি গ্রহণ করে সুয়ারেজ, আর্তুরো ভিদাল, ইভান রাকিটিচকে এক প্রকার জোর করেই তাড়িয়েছে বার্সা। চুক্তির আরেকটা বছর বাকি ছিলো, সুয়ারেজ চেয়েছিলেন সেটা শেষ করেই মাথা উঁচু করে ন্যু ক্যাম্প থেকে বিদায় নেবেন। কিন্তু হুয়ান গাম্পার ট্রফিতে তাকে দলে না রেখে নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান বুঝিয়ে দেন, উরুগুয়েন তারকাকে আর দলে চান না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে অনেকটা বিনা ট্রান্সফার ফিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন সুয়ারেজ।
তবে শুক্রবার ইএসপিএনের ‘৯০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে সুয়ারেজের দাবী, খরচ কমানো এসব ভুয়া যুক্তি। বার্সা আসলে চেয়েছে মেসির একচ্ছত্র ক্ষমতাকে খর্ব করতে। তিনি থাকলে বর্তমান সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউয়ের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী অবস্থানে থাকবেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সেটা বুঝতে পেরে তাকে তাড়ানো হয়েছে, এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন সুয়ারেজ।
‘যদি আর্থিক সমস্যা কিংবা ফর্মের ব্যাপার থাকতো তাহলে আমি বুঝতে পারতাম। ঠিক কি কারণে তারা আমাকে তাড়ালো সেটা আমি এখনো বুঝতে পারিনি।’
‘আমার মনে হয় তারা আমাকে মেসির সঙ্গ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চেয়েছে। লিওর সঙ্গে আমার একটা ভালো সম্পর্ক যেটা তাদের ক্ষোভের কারণ ছিলো। হতে পারে তারা চায়নি আমি বেশিক্ষণ মেসির পাশে থাকি। এছাড়া দলকে আর কী কারণে নষ্ট করা হতে পারে তার কোনো কারণ আমি খুঁজে পাইনি।’
‘মাঠে আমরা একে অন্যকে খুব বেশি ভরসা করতাম, কিন্তু সেটা দলের ভালোর জন্যই। হয়তো তারা চাইতো মেসি অন্যদের দিকেও একটু নজর দিক। মাঠে ভালো করার পরও আর কী কারণে তারা আমাদের তাড়িয়েছে তার আর কোনো কারণ আমি জানি না।’
২০২১ সালে বার্সার সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তার আগে হবে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, বার্তেমেউয়ের জায়গায় আসবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। আর নতুন প্রেসিডেন্ট আসলে মৌসুমের আগে বার্সা ছাড়তে চাওয়া মেসি হয়তো নতুন করে চুক্তিতে বসবেন বলে মনে করেন সুয়ারেজ।
‘লিও জানে সে বার্সার জন্য কী। সে ক্লাবের জন্য যা দিয়েছে তা কেউ কল্পনাই করতে পারবে না।’
‘হয়তো তার অন্য ক্লাবে খেলার সম্ভাবনা আছে। তবে নতুন বোর্ড আসলে যদি সে স্বস্তি আর সুখি হয় তাহলে সে হয়তো থেকে যাবে। একজন বন্ধু হিসেবে সে যদি থেকে গিয়ে কিংবা অন্য ক্লাবে যোগ দিয়ে শান্তি পায় তাহলেই আমি খুশি।’