চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মেসির বিয়ের রাতেই নেইমারকে ‘ভাগিয়েছিলেন’ আলভেজ

বার্সেলোনায় নেইমার এখন অতীত। তার চেয়ে আরেকটু বেশি অতীত লিওনেল মেসির বিয়ে। কিন্তু বেশি অতীত মেসির বিয়ের সেই রাতেই ভবিষ্যৎ ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল নেইমারের। বুয়েন্স আয়ার্সে বিয়ের রাতের আলো-আঁধারির মধ্যেই নেইমারকে পিএসজির জন্য ‘ভাগিয়েছিলেন’ তার জাতীয় দল সতীর্থ দানি আলভেজ!

বার্সা ছাড়বেন কি ছাড়বেন না, প্রথমদিকে সেটি নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন নেইমার। মনে মনে এটাও ভাবনাতে ছিল যে, আরও একটা মৌসুম কাতালান জার্সিতেই খেলে যাবেন। ২০১৮ বিশ্বকাপকে টার্নিং পয়েন্ট ধরেই আরও এক মৌসুম বার্সায় থাকতে চেয়েছিলেন ব্রাজিল তারকা। কিন্তু মেসির বিয়ের ওই রাতই পাল্টে দিল সব!

স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা জানাচ্ছে, মেসির বিয়ের অনুষ্ঠানে খুব অল্প সময় উপস্থিত ছিলেন নেইমার ও আলভেজ। কিছুক্ষণ পরই সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থদের সঙ্গে ব্রাজিলের গিয়ানিয়া উৎসবে যোগ দিতে চলে যান নেইমার। সে পথেই সবকিছু বদলে যায়। এমনকি রিলিজ ক্লজ ফি’র ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলে নেইমারকে তখনই একরকম রাজি করিয়ে ফেলেন আলভেজ। যে আলোচনার শুরুটা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই।

তবে নেইমার-আলভেজের পিএসজি যোগাযোগের শুরুটা আরও কিছুদিন আগের। নেইমার পিএসজিতে যাবেন বলেই সবাইকে তাক লাগিয়ে শেষ মুহূর্তে ম্যানচেস্টার সিটির বদলে পিএসজিতে নাম লেখান আলভেজ। যা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়, ‘গুরুকে দাগা দিয়ে পিএসজিতে আলভেজ’। পরে মেসির বিয়ের রাতে দুজনে সিদ্ধান্ত নেন, বার্সেলোনার পক্ষ থেকে যতই বোঝানো বা জোরাজুরি করা হোক না কেন, নেইমার কিছুতেই মন পরিবর্তন করবেন না।

নেইমারের পিএসজি সংযোগের কথা দুদিন আগে নিজ মুখে স্বীকার করেছেন আলভেজও। বলেছেন, ‘আপনাদের জানাতে চাই, আমি নেইমারের কাছে কৃতজ্ঞ যে তার কারণেই আজ আমি পিএসজিতে। অনেকেই মনে করেন আমি তাকে দল বদলাতে ফুসলিয়েছি। আসলে আমি এসবকিছুই বলিনি। তাকে শুধু বলেছি, যেটা করলে তুমি সুখী হবে সেটাই কর।’

নেইমার সেটাই করেছেন। প্রথমে আলভেজকে পিএসজিতে পাঠিয়েছেন। পরে নিজে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার রেকর্ড গড়ে প্যারিসের দলটিতে নাম লিখিয়েছেন। পিএসজি রুটে বিমান ওড়ার আগে আলভেজ-নেইমার দলবদল যোগাযোগটা যে ছিলই, সেটা আর তাই গোপনও নয়!