কোপা আমেরিকার ফাইনালে তিনবার, শিরোপা আসেনি। ২০১৪ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালেও নিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে, শিরোপা ধরা দেয়নি। অবশেষে স্বপ্নের শিরোপা এলো লিওনেল মেসির চুমু নিতে। মহাতারকা ফাইনালে পঞ্চমবারের চেষ্টায় জাতীয় দলকে এনে দিলেন ট্রফি। ব্রাজিলকে হারিয়ে লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের টাইটেল জিতল আর্জেন্টিনা।
রোববার আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘুচেছে। লিওনেল মেসির হাতে দেশের জার্সিতে প্রথম কোনো মেজর শিরোপা উঠেছে। তাইতো আবেগে চোখে আনন্দঅশ্রুর দেখা মিলল মেসির। সতীর্থদের জড়িয়ে ধরলেন যাকে যেভাবে পেলেন। চোখে ছল ছল জল তাদেরও।
বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপার মঞ্চে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলেছে আর্জেন্টিনা। জয়সূচক গোলটি করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
৯ বারের কোপা চ্যাম্পিয়ন সেলেসাওদের হারিয়ে ১৫তম বারের মতো কোপার শিরোপা জিতল আলবিসেলেস্তেরা। বসেছে প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের পাশে। দুদলের পাশেই এখন সমান ১৫টি করে কোটা আমেরিকা ট্রফি।
ম্যাচের ২২ মিনিটে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। গোল আনেন ডি মারিয়া। মাঝমাঠ থেকে লম্বা ক্রস বাড়িয়েছিলেন রদ্রিগো ডে পল। সেটি পৌঁছে যায় ডানপ্রান্তে অরক্ষিত ডি মারিয়ার কাছে, বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভোঁ-দৌড়ে ব্রাজিল বক্সের কাছে থেকে গোলরক্ষক এডেরসনের মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
২০০৪ সালের ফাইনালে সেসার ডেলগাডোর পর ডি মারিয়াই প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়, যিনি কোপার ফাইনালে গোল এনে দিলেন আলবিসেলেস্তেদের। ওই গোলেই নিশ্চিত হয় শিরোপা।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতে বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন মেসি-মার্টিনেজরা। সকলের চোখেই তখন জল। মধ্যমণি লিওনেল মেসি। কিংবদন্তির হাতে একটি শিরোপা তুলে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় যে ফুলচন্দন পড়েছে। মিলেছে পুরো আর্জেন্টিনার মুখে হাসি ফোটানোর সুযোগ। সেই আনন্দে চোখ যেন বাধ মানছিল না মেসি-আগুয়েরোদের।