ছয় মৌসুমে চারবার। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে লা লিগাকে একপ্রকার ডালভাত বানিয়ে ফেলা বার্সেলোনা জিততে চলেছে নিজেদের টানা দ্বিতীয় ও সাত বছরে পঞ্চম শিরোপাটাও। খুব না হলেও যারা অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারতো সেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও তাদের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মেনেছে শনিবার রাতে।
ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে হাঁসফাঁস করতে করতে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা ১০জনের অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে বার্সা। ১ মিনিটের ব্যবধানে গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসি। ৩১ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্টে অ্যাটলেটিকোর চেয়ে পরিষ্কার ১১ পয়েন্টে এগিয়ে মেসির দল।
১১ পয়েন্ট এগিয়ে থাকা দলটির জন্য এখন একটাই সমীকরণ, নিজেদের জয়ের দৌড় অব্যাহত রাখতে হবে আর দুটি ম্যাচে। সেখানে অ্যাটলেটিকো নিজেরা হারতে থাকলে তো কথাই নেই!
ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডিয়েগো কস্তা সরাসরি লা কার্ড দেখলে বাকি ম্যাচটা ১০ জনকে নিয়ে খেলতে হয়েছে অ্যাটলেটিকোকে। এরপরও বার্সাকে তাদেরই মাঠে প্রায় পাগল বানিয়ে ছেড়েছে রোজাব্লাঙ্কোরা। মেসি-সুয়ারেজদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক ইয়ান ওব্লাক।
ম্যাচ শেষের নির্ধারিত পাঁচ মিনিট আগে ওব্লাক দেয়াল ভাঙতে পেরেছে বার্সা। ৮৫ মিনিটে সুয়ারেজের ২৫ গজ দূরের নিচু শট আর ঠেকানো হয়নি অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষকের। ৬০ সেকেন্ড পর প্রায় মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র এক দৌড়ে এসে জাল খুঁজে নিয়ে বার্সার দ্বিতীয় গোলটি করে প্রতিপক্ষকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন মেসি।
দলকে শিরোপার পথে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়ে নিজেও অনন্য এক কীর্তি গড়ে ফেলেছেন মেসি। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে জয়টি বার্সার হয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ৩৩৫তম জয়, যা লা লিগার ইতিহাসে কোনো একক খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড! ৩৩৪ জয় নিয়ে মেসির পেছনে পড়ে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস।