রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়তাহার গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে শারমিন আক্তার সুমির পড়াশোনার খরচের জন্য তার পিতা মাতার হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়পুরহাটের সন্তান ফয়সাল আলিম।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়ে যায় শারমিন আক্তার সুমির। বাবা ভ্যানচালক হওয়ার অপরাধে সুমির হাতের মেহেদির রঙ না শুকাতেই শ্বামী তার হাতে ধরিয়ে দেয় তালাকপত্র। অপমানে, লজ্জায় বাবার বাড়িতে ফিরে এসে আবারও পড়াশোনা শুরু করে সুমি। পরিশ্রমের ফলে সুযোগ পেলো রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির। কিন্তু ভ্যানচালক বাবা গোলাম মোস্তফা মেয়ের মেডিকেলে পড়াশোনার খরচ কিভাবে চালাবেন তা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
এমন অনেক সংবাদ ও পোস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াতে নজরে আসে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়পুরহাটের সন্তান ফয়সাল আলিমের।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সুমির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে সুমিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তার পিতা মাতার হাতে তুলে দেন নগদ অর্থ।
শারমিন আক্তার সুমি বলেন, অনেক অপমান, লাঞ্ছনা, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমি আমার যোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি। আমি তাতে সফলও হয়েছি। এই সাফল্য বাবা মা ও প্রতিবেশীরও খুশি হয়েছে। কিন্তু আমার দরিদ্র বাবার পক্ষে মেডিকেলে পড়াশোনার খরচ জোগানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। এমন ক্রান্তিলগ্নে ফয়সাল আলিম ভাই আমাদের পাশে দাঁড়ানোয় সে প্রতিবন্ধকতা দুর হয়েছে। মানবিক মানুষ ফয়সাল ভাই ও আমার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।
সুমির বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, শুধু ভ্যানচালক হওয়ার কারণে আমার মেয়েকে তালাক দেয়া হয়েছে। অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে পড়িয়েছি। মেডিকেলে পড়ার সুযোগও পেয়েছে। কিন্তু দুঃচিন্তায় ছিলাম মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগাবো কি করে। এমন সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ফয়সাল আলিম ভাই এগিয়ে আসায় অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছি। আল্লাহ যেন তার মঙ্গল করেন।
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলিম বলেন, দেশে অনেক মেধাবী সন্তান রয়েছে যারা অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। এমনই একজন সুমি। তাকে সাহায্য করতে পেরে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমি যেমন সুমির পাশে দাঁড়িয়েছি সমাজের অন্য বিত্তবানরা এরকম হাজারো সুমির পাশে এগিয়ে আসবেন সেই আহবান জানাচ্ছি।